Fuchka Health Concern: ফুচকা মানেই তার সঙ্গে থাকবে সুস্বাদু তেঁতুল গোলা জল। অন্যদিকে অনেক ফুচকাওয়ালা আবার পুদিনার জলও পরিবেশন করেন ফুচকার সঙ্গে। কিন্তু এই জল খেয়ে অনেকের পেটের গোলযোগও হয়। যে কারণে ফুচকা খাওয়ার সময় কেউ কেউ এই জল এড়িয়ে চলেন। শুধু শুকনো ফুচকাটি পরিবেশন করতে বলেন। তবে এই জলে আদতে কী মেশানো হয় ? শুধুই কি পুদিনাপাতা বা তেঁতুল ? নাকি থাকে আরও ক্ষতিকর কিছু ?


তেঁতুল বা পুদিনা জলের আসল উপাদান


তেঁতুল বা পুদিনা জলের সঙ্গে বেশ কিছু মশলাও মেশানো হয় জলে। তেঁতুলের ক্বাথ দিয়ে বা শুধু পুদিনাপাতা দিয়ে এক ড্রাম জলের রং খয়েরি বা সবুজ করে তোলা মুশকিল। ফুচকাওয়ালারা দাবি করে থাকেন, তারা এগুলি মিশিয়েই তৈরি করেন ফুচকা। কিন্তু এর মধ্যে রংও মেশানো হয়ে থাকে। আর সেই রংগুলিই শরীরের জন্য ক্ষতিকর। ক্যানসারও ঘটাতে পারে এই ধরনের রংগুলি।


কী কী রং মেশানো হয় ?


তেঁতুল বা পুদিনা দুটোরই ফ্লেভার কালার বাজারে উপলব্ধ। এই রংই মেশানো হয়ে থাকে ফুচকার জলের মধ্যে। পুদিনাপাতার রং আনতে যেমন পিপারমিন্ট ফ্লেভার কালার মেশানো হয়ে থাকে। একই ভাবে তেঁতুল জলের ক্ষেত্রেও মেশানো হয়ে থাকে কিছু ক্ষতিকর মশলা। 


রং মেশানোর প্রমাণ কী ?


সম্প্রতি কর্ণাটকের খাদ্য সুরক্ষা দফতর স্থানীয় বাজারে হানা দেয়। সেখান থেকে পানিপুরি সংগ্রহ করে তার নমুনা পরীক্ষা করতে পাঠানো হয়। তখনই পানিপুরির মধ্যে একাধিক রাসায়নিকের খোঁজ পেয়েছেন খাদ্য সুরক্ষা দফতরের গবেষকরা। দেখা গিয়েছে, এর মধ্যে ব্রিলিয়ান্ট ব্লু, টারট্রাজান ও সানসেট ইয়েলোর মতো রং মেশানো হয়‌। এই রংগুলি পেটের যে শুধু ক্ষতি করে তা নয়‌। পাশাপাশি ক্যানসার ঘটাতে পারে। অর্থাৎ কারসিনোজেনিক এলিমেন্ট রয়েছে এর মধ্যে। পানিপুরি ও ফুচকা প্রায় একইভাবে তৈরি করা হয়। পরিবেশনের কায়দাও এক। তাই  রং মেশানোর সম্ভাবনা প্রবল।


অপরিষ্কার হাতে ফুচকা পরিবেশন


অপরিষ্কার হাতে ফুচকা পরিবেশনের দৃশ্য খুব পরিচিত বাংলায়। বাংলা তথা ভারতের অন্যান্য রাজ্যেও এমন ছবি দেখা যায়। পাশাপাশি ফুচকা পরিবেশনের সময় স্বাস্থ্যকর নিয়ম মানা হয় না। যার ফলে রোগ ছড়ানোর সম্ভাবনা বাড়ে। সম্প্রতি এই কারণেই তৎপর খাদ্য সুরক্ষা দফতর।


আরও পড়ুন - Meta AI Memes: Meta AI নিয়ে মিমের বন্যা সোশ্যালে, নয়া প্রযুক্তি নিয়ে খোশমেজাজে নেটিজেনরা


আপনার পছন্দের খবর এবার হোয়াটসঅ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে।