নদীয়া: হাঁসখালির পর এবার ধানতলা (Dhantala)। ফের নাবালিকাকে ধর্ষণ-খুনের অভিযোগ। ঘটনায় গ্রেফতার মৃতের জামাইবাবু, পিসি ও আরেক আত্মীয়। দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের আবেদন মৃতের পরিবারের। নির্যাতিতার পরিবার সূত্রে খবর, গত ১১ এপ্রিল চড়ক পুজো উপলক্ষে পিসতুতো দিদির বাড়িতে আসে নবম শ্রেণির ওই ছাত্রী। বুধবার পরিবারের সদস্যরা ফিরে গেলেও নাবালিকা দিদির বাড়িতেই থেকে যায়।
হাঁসখালিতে (Hanskhali) নাবালিকাকে গণধর্ষণ ও খুনের অভিযোগ ঘিরে রাজ্য রাজনীতি তোলপাড়। এরইমধ্যে নদিয়ারই ধানতলায় আরও এক নাবালিকাকে ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগ উঠল।অভিযোগ, চড়ক পুজোর দিন নাবালিকার মুখে মদের গন্ধ পেয়ে চড় মারেন পিসি। তালা আটকে ঘরবন্দি করে রেখে দেন নাবালিকাকে। এর কিছুক্ষণ পর ওই ঘর থেকেই নাবালিকার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। নাবালিকার পরিবার প্রথমে তিন আত্মীয়ের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ দায়ের করে। পরে ধৃতদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ, খুন ও পকসো আইনেও মামলা রুজু হয়।
ধানতলার (Dhantala) ঘটনায় ফেসবুকে পোস্টে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি। রানাঘাটের পুলিশ সুপার সায়ক দাস বলেন, “এরা প্রথমে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ করে, পরে ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগ করে, ৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ। ৩ জন গ্রেফতার হয়েছে।‘’ শনিবার, ঘটনাস্থল ঘুরে দেখেন রানাঘাট পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার ও অন্য পুলিশ আধিকারিকরা।
এদিকে হাঁসখালিকাণ্ডে এবার সিবিআই (CBI) দফতরে ডাকা হল নির্যাতিতার মা ও জ্যাঠতুতো দাদাকে। সিবিআই সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার থেকে দফায় দফায় নাবালিকার মা, বাবাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে। এরপর আজ ফের নির্যাতিতার মা ও জ্যাঠতুতো দাদাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন সিবিআইয়ের ডিআইজি অখিলেশ সিং। সূত্রের খবর, হাঁসখালিকাণ্ডে বেশ কিছু প্রশ্নের উত্তর জানতে চান কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। অভিযুক্তদের নিয়ে আসা হয় কৃষ্ণনগরে সিবিআই-এর অস্থায়ী ক্যাম্পে।
আরও পড়ুন: South 24 Paraganas: ভাঙড়ে কাকিমাকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার ভাইপো