রঞ্জিৎ হালদার, দক্ষিণ ২৪ পরগণা: গোটা রাজ্য তোলপাড় একের পর এক ধর্ষণের ঘটনায়। উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। বিভিন্ন জায়গায় প্রতিবাদে নেমেছেন বিরোধীরা। কোথাও নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ কোথাও আবার ধর্ষণের পর পুড়িয়ে খুনের অভিযোগ। সেই তালিকায় যোগ হল দক্ষিণ ২৪ পরগণার (South 24 Paraganas) ভাঙড়ও (Bhangar)। 


দক্ষিণ ২৪ পরগণায় গ্রেফতার ধর্ষণে অভিযুক্ত


প্রথমে ধর্ষণ। তারপর সেই কীর্তি চাপা দিতে একের পর এক উপায় অবলম্বন। কখনও ঘটনা ধামচাপা দিতে মেয়ের বিয়ের দায়িত্ব নেওয়ার প্রলোভন দেওয়া, সঙ্গে টাকার ভেট। আর তাতেও রাজি না হওয়ায় খুন করার পর্যন্ত হুমকি দিতে পিছপা হয় না দুষ্কৃতী।


রাজ্যে একের পর এক ধর্ষণ কিংবা গণধর্ষণের অভিযোগের তালিকা আরও দীর্ঘ হল দক্ষিণ ২৪ পরগণার ভাঙড়ের কাশীপুর থানা এলাকার একটি ঘটনায়। এবার কাকিমাকে ধর্ষণের অভিযোগে কাঠগড়ায় উঠল ভাসুরপো। বৃহস্পতিবার কাশীপুর থানায় এই অভিযোগ দায়ের করেন মহিলা।


ইতিমধ্যেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশের কাছে দেওয়া অভিযোগকারিণীর বিবরণ অনুযায়ী, বুধবার রাতে খাওয়া-দাওয়ার পরে তিনি শৌচকর্মের জন্য বাইরে বের হন। সেই সময় তাকে হঠাৎ কেউ পিছন থেকে মুখ চেপে ধরে পাশের জঙ্গলে টেনে নিয়ে যায়। অভিযোগকারিণীর দাবি, ধর্ষণের পরে তিনি বুঝতে পারেন, অভিযুক্ত তাঁরই ভাসুরপো। 


অভিযোগকারিণীর আরও চাঞ্চল্যকর দাবি, ঘটনার পরে অভিযুক্ত তাঁকে বিষয়টি চেপে যেতে বলে। নগদ ৫০ হাজার টাকা আর মেয়ের বিয়ের দায়িত্ব নেওয়ার প্রলোভনও দেখানো হয় তাকে। কিন্তু রাজি না হওয়ায় প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয় বলে মহিলার অভিযোগ। বৃহস্পতিবার ওই মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে ভাসুরপোকে গ্রেফতার করে পুলিশ। 


আরও পড়ুন: Hanskhali Case : সৎকার নিয়ে উঠছে প্রশ্ন, আজ সিবিআই দফতরে হাঁসখালির নির্যাতিতার মা ও জ্যাঠতুতো দাদা


অন্যদিকে শান্তিনিকেতনে নাবালিকাকে গণধর্ষণকাণ্ডের প্রতিবাদে সিপিএমের বিক্ষোভ। শনিবার শান্তিনিকেতন থানার সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বাম নেতা ও কর্মীরা। শান্তিনিকেতনে নাবালিকাকে গণধর্ষণকাণ্ডে অভিযুক্তদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছে বামেরা। পাশাপাশি, এদিন নির্যাতিতার গ্রামে যাওয়ার কথা রয়েছে বিজেপি ও কংগ্রেসের প্রতিনিধিদলের।