নদিয়া : স্বাস্থ্য পরিষেবায় করোনার প্রভাব।  নদিয়ার শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালের ৫ চিকিত্‍সক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মী করোনা আক্রান্ত। এই পরিস্থিতিতে আজ থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হল হাসপাতালের স্পেশাল আউটডোর। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে নোটিসও দিয়েছে। তবে জেনারেল আউটডোর ও জরুরি বিভাগ খোলা থাকবে বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে।

  

অন্যদিকে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে ৪ জন অ্যানাস্থেটিস্টই কোভিড পজিটিভ। সমস্ত অপারেশন বন্ধ হয়ে গেল । অস্ত্রোপচার করে প্রসব, সার্জারি বন্ধ থাকায় সমস্যায় পড়েছেন রোগীরা। একাধিক ডাক্তার ও নার্স সংক্রমিত হওয়ার ফলে পরিষেবা দেওয়াই কঠিন হয়ে পড়েছে। শনিবার পর্যন্ত ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালের ডাক্তার, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মী মিলিয়ে ২৯ জন আক্রান্ত হন। তার মধ্যে ছিলেন ৩ জন অ্যানাস্থেটিস্ট। এক অ্যানাস্থেটিস্ট সুস্থ থাকায়, কোনওরকমে চলছিল অপারেশন। সোমবার তাঁর রিপোর্ট পজিটিভ আসায় বন্ধ করে দিতে হয়, সব ধরনের অস্ত্রোপচার। ক্যানিংয়ের পাশাপাশি, গোসাবা, বাসন্তী, জীবনতলা ও উত্তর ২৪ পরগনার একাংশের বাসিন্দারা এই হাসপাতালের উপর নির্ভরশীল। সংক্রমণের ধাক্কায়, অপারেশন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ এলাকার বাসিন্দারা পড়েছেন সমস্যায়।

আরও পড়ুন :


পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর, লাগাম টানতে বেশ কয়েকটি বাজার বন্ধ জেলায়


করোনার তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়তেই, আইসিইউ বেডের সঙ্কটের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। সরকারি থেকে বেসরকারি হাসপাতাল- অধিকাংশ জায়গায় প্রায় সব বেড ভর্তি। ক্রিটিক্যাল কেয়ারে উপচে পড়ছে ভিড়। চিকিৎসকদের সতর্কবাণী, করোনাকে কোনওভাবেই হালকাভাবে নেওয়া যাবে না। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় বেডের জন্য হাহাকারের দুঃস্বপ্ন এখনও অনেকের মনে টাটকা। যেভাবে রকেটের গতিতে সংক্রমণ বাড়ছে তাতে কি সেই পরিস্থিতি তৈরি হবে? চিকিৎসকদের সাবধানবাণী, এখনও সতর্ক না হলে ভবিষ্যত্‍ ভয়ঙ্কর!


অন্যদিকে কিছুটা আশার বার্তা শোনালেন স্বাস্থ্যমন্ত্রকের যুগ্ম সচিব লব আগরওয়াল।। ওমিক্রন নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে হোম আইসোলেশনই যথেষ্ট। তবে ওমিক্রনের সংক্রমণ ছড়ানোর ক্ষমতা ৭০ গুণ বেশি। ফলে হোম আইসোলেশনের বিধি কঠোর ভাবে মানতে হবে।