সুজিত মণ্ডল ও প্রদ্যোৎ সরকার, নদীয়া: নদিয়ার (Nadia) হাঁসখালিতে আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি-সহ গ্রেফতার হলেন তৃণমূলের (TMC) পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য। ধৃতের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে রানাঘাট মহকুমা আদালত (Ranaghat Subdivisional Court)। এই ঘটনায় তুঙ্গে উঠেছে রাজনৈতিক চাপানউতোর।


২ দিন আগে নদিয়ার হাঁসখালিতে গুলি করে খুনের চেষ্টা করা হয় তৃণমূল নেতাকে।এবার সেই হাঁসখালিতে, আগ্নেয়াস্ত্র-সহ গ্রেফতার হলেন তৃণমূলের এক পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য। ধৃতের নাম রথীন মল্লিক। তিনি হাঁসখালি পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূলের সদস্য।তাঁর অস্ত্র-সহ গ্রেফতারি ঘিরে, বিজেপি-তৃণমূলের মধ্যে শুরু হয়েছে তরজা। রানাঘাট উত্তর পূর্বের বিজেপি বিধায়ক অসীম বিশ্বাস বলেন, “তৃণমূল কংগ্রেসের জনপ্রতিনিধিদের কাছেই আগ্নেয়াস্ত্র মজুত রয়েছে। এলাকায় অশান্তি করবার জন্য, বাংলাদেশ থেকে অবৈধভাবে অস্ত্রের আমদানি করা হয়। এরা প্রতিনিয়ত বিজেপির ওপর আক্রমণ করছে। পঞ্চায়েত বিধানসভা ও লোকসভা নির্বাচনের সময় বিরোধীদের ভয় দেখানোর জন্যই এই আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে।’’


রানাঘাট সাংগঠনিক জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের কোঅর্ডিনেটর দীপক বসু বলেন, “হাঁসখালিতে পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য সে আগ্নেয়াস্ত্রসহ ধরা পড়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মত আইন আইনের পথে চলবে, বেআইনিভাবে অস্ত্র রাখার অধিকার কারও নেই। মানুষের আতঙ্ক দূর করতে হবে এটাই আমাদের মূল বক্তব্য।’’


রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে, বোমা মেরে তৃণমূলের উপপ্রধানকে খুন, তারপর, একের পর এক বাড়িতে আগুন। শিশু-মহিলা সহ ৮ জনকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারার ঘটনা ঘিরে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি।তার মধ্যে বোমা ও বেআইনি অস্ত্র উদ্ধারে কড়া বার্তা দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এই প্রেক্ষাপটে, পুলিশি অভিযানে অস্ত্রেয়াস্ত্র ও গুলি সহ গ্রেফতার হলেন তৃণমূলের এক পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য। ধৃতের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে রানাঘাট মহকুমা আদালত। হাঁসখালি থানা সূত্রে দাবি, তৃণমূল নেতার কাছে কী কারণে এবং কোথা থেকে আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি এল তা খতিতে দেখা হচ্ছে।