সুজিত মণ্ডল, নদিয়া: IISER-এর এক গবেষকের অস্বাভাবিক মৃত্যুকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়াল নদিয়ার (Nadia) হরিণঘাটায় IISER কলকাতা ক্যাম্পাসে। সোমবার সকালে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স এডুকেশন এন্ড রিসার্চ (আইসার)-এর ল্যাবে গবেষক শুভদীপ রায়ের মৃতদেহ পাওয়া যায়। ঘটনায় অভিযোগের আঙুল উঠেছে সুপারভাইজারে দিকে। মৃতের কাছ থেকে পাওয়া গিয়েছে একটি সুইসাইড নোটও। 


মৃত গবেষক শুভদীপ রায়ের বন্ধু এবং জুনিয়রদের কাছ থেকে জানা গিয়েছে, রবিবার অনেক রাত পর্যন্ত ল্যাবরেটরিতে ছিলেন তিনি। পরদিন সকাল এগারোটা বেজে গেলেও তিনি দরজা না খোলায় সন্দেহ হয় সকলের। এরপর ল্যাবের দরজা ধাক্কাধাক্কি করে ঢুকে দেখা যায় অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে রয়েছেন শুভদীপ। দ্রুত হরিণঘাটা গ্রামীন হাসপাতালে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। মঙ্গলবার কল্যাণী পুলিশ মর্গে ময়নাতদন্ত হয়েছে।


আরও পড়ুন - Nadia: জ্বালানির দামবৃদ্ধিতে সাইকেলে যাতায়াত তাহেরপুর পৌরসভার চেয়ারম্যানের, কটাক্ষ তৃণমূলের


জানা গিয়েছে, ২০১৪ সালে আইসার কলকাতায় ফিজিক্যাল সায়েন্সে ইন্ট্রিগ্রেটেড পিএইচডি কোর্সে ভর্তি হন বছর সাতাশের শুভদীপ। ২০১৫-তে তিনি এক অধ্যাপকের তত্ত্বাবধানে গবেষণা শুরু করেন। অভিযোগ উঠেছে যে, ওই অধ্যাপক গবেষণার কাজে একেবারেই সাহায্য করতেন না। তাই মানসিক চাপ সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যার পথ বেছে নেন শুভদীন। মৃতের কাছ থেকে একটি সুইসাইড নোট পাওয়া গিয়েছে। যেখানে তিনি সুপারভাইজারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে গিয়েছেন। 


মৃত গবেষকের মা রঞ্জনা রায় ইতিমধ্যেই হরিণঘাটা থানার মোহনপুর ফাঁড়িতে ছেলের অস্বাভাবিক মৃত্যুর অভিযোগ দায়ের করেছেন। শুভদীপের সুইসাইড নোটে যে সুপারভাইজারের নাম পাওয়া গিয়েছে, তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি। তিনি আরও জানিয়েছেন, গবেষণার জন্য নির্দিষ্ট কোনওভাবে সাহায্য করতেন না সুপারভাইজার। তার উপর মারাত্মক মানসিক চাপ সৃষ্টি করা হত। মৃত ছাত্রের এক বন্ধুর জানাচ্ছেন, সোমবার সকালে ল্যাব থেকে শুভদীপের দেহ উদ্ধার হয়েছে। তাঁর সন্দেহ, নিজেই কেমিক্যাল তৈরি করে আত্মহত্যা করেছেন ওই গবেষক। তিনি বলছেন, 'আমরা ক্যাম্পাসে ইতিমধ্যেই স্বতঃস্ফূর্তভাবে প্রতিবাদ মিছিল করেছি। ডিরেক্টর আশ্বাস দিয়েছেন বিষয়টি দেখা হবে। তাই আমরা আন্দোলন থেকে সরে দাঁড়ালাম।' ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে IISER কলকাতা ক্যাম্পাসে। পুলিশ গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখছে।