প্রদ্যোৎ সরকার, নদিয়া: বিএসএফের গুলিতে মৃত্যুর ঘটনায় এর আগে কম বিতর্ক হয়নি। তবে এবার বিএসএফের গুলিতে মৃত্যু হয়েছে এক পাচারকারীর। ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জ থানার নোনাগঞ্জ বর্ডার এলাকায়।


পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত পরশু রাতে অজ্ঞাত পরিচয় ওই পাচারকারীরা বর্ডারের ফেনসিনের তার কাটছিল। বিএসএফের নজরে আসতেই বিএসএফ প্রতিরোধ করে। তখন পাচারকারীরা বিএসএফের ওপর আক্রমণ করে বলে অভিযোগ। পালটা বিএসএফ গুলি চালালে এক অজ্ঞাত পরিচয় পাচারকারীর মৃত্যু হয়। কৃষ্ণগঞ্জ থানার পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। 


গত বছরের ১৭ মার্চ কোচবিহারেরই মাথাভাঙায় বিএসএফ-এর গুলিতে একজনের মৃত্যুর ঘটনা সামনে আসে। জানা যায়, তিনি বাংলাদেশি নাগরিক। অনুপ্রবেশ রুখতে গুলি বিএসএফ গুলি চালাতে হয় বলে সেই সময়  জানানো হয়। সেই ঘটনার সঙ্গে চোরাচালান সংযোগও তুলে ধরা হয়।এর পর ১০ এপ্রিল কোচবিহারের সিতাইয়ে বিএসএফ-এর গুলি চালানোর ঘটনা সামনে আসে। তাতে তিন জনের মৃত্যু হয়।


কাঁটাতার পেরিয়ে তাঁরা গরুপাচারের চেষ্টা করছিলেন বলে বিএসএফ-এর তরফে জানানো হয়। সে বার বাংলার নাগরিকদের উপর বিএসএফ জুলুম করছে বলে দাবি করেন রাজ্যের মন্ত্রী উদয়ন গুহ। তাঁর অভিযোগ ছিল, সীমান্তের ১৫০ গজ ভিতরে কাঁটাতারের বেড়া রয়েছে। নিজেদের ভূখণ্ড ছেড়ে বেড়া দেওয়া হচ্ছে। তার ফলে ঘোরাঘুরি করতে দেখলেও জুলুম করা হয়। এমনকি তাঁদের মতো নেতারাও বিএসএফ-এর জুলম থেকে ছাড় পান না বলে দাবি করেন উদয়ন।






 


 

এদিকে, নিহত ব্যক্তি চোরাচালানে যুক্ত ছিলেন বলে জানায় বিএসএফ। যা নিয়ে পরে বিস্তর জলঘোলা হয়েছে।এমনকি চলতি বছরের শুরুতেও মেখলিগঞ্জের ফুলকাডাবরিতে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্য়ু হয়েছিল যুবকের। পরিবারের অভিযোগ ছিল, যুবককে গুলি করে খুন করে বিএসএফ। যদিও বিএসএফ সূত্রে দাবি, গরুপাচারে জড়িত যুবক, বাধা পেয়েই বিএসএফ-এর ওপর আক্রমণ চালিয়েছিল।