সুজিত মণ্ডল,নদিয়া: সদ্য গতকালই নদিয়া জেলায় চাঁদার দাবিতে,সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসককে মারধরের মতো গুরুতর অভিযোগ প্রকাশ্যে আসে। এরপরেই দোষীদের গ্রেফতারির দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করে বিজেপি। আর এবার

  মূল অভিযুক্তকে অবশেষে গ্রেফতার (Arrest) করল শান্তিপুর থানার পুলিশ।


ঠিক কী হয়েছিল ?


গত রবিবার শান্তিপুর থেকে ফুলিয়া প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে কাজে যোগ দিতে আসার সময় ফুলিয়া ঘোষ পাড়ায় চাঁদা আদায়কারীদের হাতে আক্রান্ত হন এক চিকিৎসক সুজন দাস। সেই ঘটনায় শান্তিপুর থানায় আক্রান্ত চিকিৎসক অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ তদন্ত শুরু করে।শুক্রবার রাতে ঘটনায় মূল অভিযুক্তকে ফুলিয়া থেকে গ্রেফতার করে শান্তিপুর থানার পুলিশ। শনিবার ধৃতকে রাণাঘাট আদালতে তোলা হয়।


বিজেপির বিক্ষোভের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই গ্রেফতার ?


গতকাল দোষীকে গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ চলাকালীন, পুলিশের সঙ্গে বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের ধস্তাধস্তির পরিস্থিতি তৈরি হয়। পুলিশের ব্য়রিকেড উল্টে দেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। নদিয়ার শান্তিপুরে চাঁদার দাবিতে চিকিৎসককে মারধরের ঘটনায় মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতারের দাবিতে ফুলিয়া পুলিশ ফাঁড়িতে বিজেপির বিক্ষোভ ঘিরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। যদিও বিক্ষোভের চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যেই রাজ্য পুলিশের হাতে গ্রেফতার অভিযুক্ত। 


'একটা চোরের সরকার..', চিকিৎসককে দেখতে হাসপাতালে যান শুভেন্দু


গতকাল রানাঘাট বিজেপি সাংসদ  জগন্নাথ সরকার বলেছিলেন,'অপরাধীকে ধরতে হবে। একজন ডাক্তার তাঁর জীবন মৃত্য়ু লড়াই চলছে। ওসি সাহেব এসে বলছেন আলোচনা। আলোচনার কী আছে। আলোচনা করতে হলে আমি এসপির সঙ্গে আলোচনা করব। স্বৈরতান্ত্রিক একটা চোরের সরকার চলছে। পুলিশ এখন তোলাবাজ, চোরকে, ধর্ষককে রক্ষা করছে।'  বৃহস্পতিবার আক্রান্ত চিকিৎসককে দেখতে হাসপাতালে যান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।  


কী প্রতিক্রিয়া শাসকদলের ?


যদিও রানাঘাট সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেস  সভাপতি দেবাশিস গঙ্গোপাধ্য়ায়  বলেছিলেন,'যে ঘটনাটা ঘটেছে এবং যেভাবে তার ব্য়াখ্যা হচ্ছে তার একটা পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করে দেখতে পারলে পরিষ্কার হয়ে যাবে। পুলিশ আইনগত ব্য়বস্থা করেছে। ইতিমধ্য়েই এক জন গ্রেফতার হয়েছে। বিজেপি অযথা এটা নিয়ে একটা রাজনৈতিক স্টান্টবাজি করতে চাইছে। রাস্তায় দাঁড়িয়ে চাঁদা তোলা অনভিপ্রেত।কিন্তু, যেভাবে ব্য়াখ্যা করা হচ্ছে তার কতটা সত্য়তা আছে যাচাই করা দরকার।'


আরও পড়ুন, আমহার্স্ট স্ট্রিট কাণ্ডে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বাজেয়াপ্ত করল লালবাজার


এদিকে গতপরশু চাঁদার 'জুলুম'ঘিরে প্রকাশ্যে আসে আরও এক বিস্ফোরক অভিযোগ রায়গঞ্জে। স্বামী-ছেলে-সহ মহিলাকে মারধরের অভিযোগ ওঠে ক্লাব সদস্যদের বিরুদ্ধে। এতটাই মারধর করা হয়, যে  রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আক্রান্ত মহিলাকে ভর্তি করতে হয়। এমনকি জমা দেওয়া চাঁদার পরিমাণটা নেহাত কম ছিল না। তারপরেও গুণতে হয় মাশুল। '১ হাজার টাকা চাঁদা দেওয়ার পরও ফের চাঁদা দাবি'। দ্বিতীয়বার চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় মার, দোকানে ভাঙচুরের অভিযোগ তুলেছেন ওই মহিলা। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূলের স্থানীয় পুর-কোঅর্ডিনেটর ও ক্লাবের সভাপতি। 



  • আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে। https://whatsapp.com/channel/0029VaCBCh6545uwkeNBg11y