আমদাবাদ: বিশ্বকাপ ফাইনাল বলে কথা। টুর্নামেন্টের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ। খেতাব লড়াই। আগামীকাল ভারত-অস্ট্রেলিয়া মুখোমুখি হবে আমদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে। সেই ম্যাচের আগে পিচ নিয়ে অদ্ভূত কথা বললেন অজি অধিনায়ক প্য়াট কামিন্স। তিনি নাকি বোঝেনই না পিচের আচরণ, প্রকৃতি সম্পর্কে। ম্যাচের আগের দিন সাংবাদিক বৈঠকে এসে কামিন্স বলেন, ''আমি মূলত পিচ নিয়ে খুব বেশি বুঝি না। খুব বেশি জ্ঞান নেই। জল দেওয়া হয়েছে পিচে জানি। তবে আরও ২৪ ঘণ্টা যাক। ম্য়াচের আগে পিচ দেখে বোঝা যাবে কেমন হতে পারে। তবে যা মনে হচ্ছে উইকেট বেশ ভালই হবে।''


নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়াম এখনও পর্যন্ত বিশ্বকাপের চারটি ম্যাচ আয়োজিত হয়েছে। বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচটিও আয়োজিত হয়েছিল এই স্টেডিয়ামেই। স্পিনাররা এই পিচে সুবিধে পেয়ে এসেছেন। চলতি টুর্নামেন্টে এই মাঠে পেসাররা ৩৫ উইকেট নিয়েছেন। যদিও স্পিনাররা ২২ উইকেট নিয়েছেন। তবে এখানকার পিচ ব্যাটারদের খুবই সাহায্য করে। প্রচুর রান ওঠে এখানকার পিচে।


উল্লেখ্য,


১৯৮৭ এবং ১৯৯৯ সালে দুইবার বিশ্বজয়ের পর ২০০৩ সালে তৃতীয় বিশ্বখেতাব জয়ের লক্ষ্যে মাঠে নেমেছিল অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট দল। ভারতীয় দলও ১৯৮৩ সাল ও ২০১১ সালের পর এবার তাঁদের তৃতীয় ৫০ ওভারের বিশ্বকাপ জয়ের লক্ষ্যে আমদাবাদে মাঠে নামবে। 


২০০৩ সালে ভারতীয় ক্রিকেট দল নিজেদের বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে জয়ের পর অস্ট্রেলিয়ার কাছে পরাজিত হয়েছিল। কিন্তু তারপরে সৌরভের টিম ইন্ডিয়া টানা আট ম্যাচ জিতে ফাইনালে পৌঁছয়। প্যাট কামিন্সের অস্ট্রেলিয়াও এবারের বিশ্বকাপের বিশ্বকাপের শুরুতে ভারত এবং দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে হারের পর নাগাড় আট ম্যাচ জিতে ফাইনালে উঠেছে।







এখানেই শেষ নয়। ২০০৩ এবং ২০২৩ সালের মধ্যে আরও মিল রয়েছে। ২০০৩ সালে ভারতের ব্যাটিং লাইন আপ শক্তিশালী করার জন্য রাহুল দ্রাবিড়ের হাতে কিপিং দস্তানা তুলে দিয়েছিলেন সৌরভ। এবারও ভারতের হয়ে উইকেটের পিছনে আরেক রাহুল রয়েছেন। সেবার দ্রাবিড় মিডল অর্ডারে ব্যাট করে ১১ ম্যাচে ৩১৮ রান করেছিলে। তাঁকে আইডল মনে করা কেএল রাহুলও চলতি বিশ্বকাপে অনবদ্য ফর্মে। ১০ ম্যাচে রাহুলের সংগ্রহ ৩৮৬ রান।