সুজিত মণ্ডল, নদিয়া: নদিয়া জেলায় (Nadi District) তৃণমূল কংগ্রেসের নতুন কমিটি গঠনের পর প্রথম কর্মীদের নিয়ে প্রতিবাদ মিছিল (Protest Rally)। আয়োজনে রানাঘাট সংগঠনিক জেলা মহিলা তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। আগামীতে যে পঞ্চায়েত নির্বাচন, সেই নির্বাচনে জমি পুনরুদ্ধার করার জন্য মানুষের সামনে তাদের শক্তি প্রদর্শনের এটা মিছিল, কটাক্ষ গেরুয়া শিবিরের (BJP)।
গত ২০ আগস্ট তৃণমূল কংগ্রেসের জেলায় পরিবর্তন নেতৃত্বের।এরপর বৃহস্পতিবার বিকেলে প্রথম রানাঘাট সাংগঠনিক জেলা মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে কুপার্স শহরে আয়োজন করা হলো প্রতিবাদ মিছিলসহ প্রতিবাদ সভার। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি সহ কেন্দ্রের একাধিক ইস্যুকে সামনে এনে মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে প্রতিবাদ মিছিল ও পথসভার আয়োজন করা হয়। আর তা নিয়েই কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি নদিয়া দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলা বিজেপি সম্পাদক তথা কুপার্সের বিজেপি নেতা দীপক দে।
তিনি কটাক্ষ করে বলেন, জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে কুপার্সে যে কেন্দ্র সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ মিছিলের আয়োজন করেছে, এটা কোনও প্রতিবাদ মিছিল নয়। আগামীতে যে পঞ্চায়েত নির্বাচন, সেই নির্বাচনে জমি পুনরুদ্ধার করার জন্য মানুষের সামনে তাদের শক্তি প্রদর্শনের এটা মিছিল। কারণ গত লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচনে সাধারণ মানুষ তাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। যেহেতু কুপার্সে আগামী দিনে নির্বাচন, সেজন্য কুপার্সের বুকেই এই মিছিল অনুষ্ঠিত হল সাধারণ। মানুষ আজকের তৃণমূল কংগ্রেসের রাজনৈতিক সমীকরণ বুঝে গিয়েছে। বিজেপি এই মিছিলের গুরুত্ব দিচ্ছে না। আমরা মনে করি এই মিছিল শুধু শক্তি প্রদর্শন করার মিছিল।
যদিও রানাঘাট সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী তথা নদিয়া জেলা পরিষদের নারী ও শিশু কল্যাণ দপ্তরের কর্মাধ্যক্ষ বর্ণালী দে অবশ্য বলেন, ইডি, সিবিআই দিয়ে বারংবার তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা কর্মীদের যেভাবে অত্যাচার করা হচ্ছে, তারই প্রতিবাদে জেলা মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে তীব্র ধিক্কার জানাই। কেন্দ্রের অপদার্থ মোদি সরকারকে এক ইঞ্চিও জায়গা আমরা ছাড়বো না। আগামী দিনে ঐক্যবদ্ধ তৃণমূল কংগ্রেস একসঙ্গে লড়াই করব। এবং সামনে যে পঞ্চায়েত নির্বাচন সেখানে সঙ্ঘবদ্ধ ভাবে লড়াই করব।
আরও পড়ুন, কৌশিকী অমাবস্যায় বীরভূমের সব পোস্টার থেকে বাদ পড়লেন অনুব্রত
নদিয়া জেলায় মোট ১৭ টি বিধানসভা কেন্দ্র রয়েছে। তার মধ্যে ৯ টি বিধানসভা কেন্দ্র রয়েছে জেলার উত্তরে। জেলার দক্ষিণে রয়েছে ৮ টি বিধানসভা কেন্দ্র। গত বিধানসভা নির্বাচনে জেলার দক্ষিণে ৮ টি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে ৭ টি বিজেপি দখলে গিয়েছে। পাশাপাশি জেলার উত্তরে থাকা ৯টি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে কৃষ্ণনগর উত্তর বিধানসভাটিতে জয়ী হয় বিজেপি। এই পরিস্থিতিতে জেলার ১৮ টি ব্লকের মোট ১৮৫ টি গ্রাম পঞ্চায়েত পুনরায় নিজেদের দখলে রাখতে মরিয়া সবুজ শিবির। এছাড়া গত লোকসভায় রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রটি বিজেপির দখলে। তাই এখন থেকেই সংগঠনকে ঢেলে সাজানোর পাশাপাশি মিটিং, মিছিল, প্রতিবাদ সভা করে আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনকে পাখির চোখ করতে চাইছে শাসকবিরোধী দুই শিবির।