সুজিত মণ্ডল, নদিয়া: সপ্তাহান্তে গরম থেকে স্বস্তি। ঝড় আর বৃষ্টিতে বৈশাখ মাসেও যেন আষাঢ়ের স্বাদ। সারা রাজ্যেই নানা জেলায় এদিন বৃষ্টি হয়েছে। নদিয়ার আবহাওয়াও তেমনই।


নদিয়ার কল্যাণী থানার সগুনা ও গয়েশপুর এলাকায় দুপুরে কালো মেঘ করে হঠাৎ ঝড় বৃষ্টি শুরু হয়। ঝড়ের আঘাতে একাধিক বসত বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। উপড়ে পড়ে গিয়েছে একাধিক গাছ। হাওয়ার ধাক্কায় কোনও কোনও বাড়ির টিনের চালা উড়ে গিয়েছে সগুনা এলাকায়। নদিয়ার গয়েশপুরেও হাওয়ার দাপট দেখা গিয়েছে। সেখানে ব্যাপক শিলা বৃষ্টি হয়েছে। শিলাবৃষ্টির কারণে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতিও হয়েছে।


শনিবার বিকেলেও ঝড়বৃষ্টি হয়েছিল নদিয়ার (Nadia) বিভিন্ন জায়গায়। জমিতে চাষ করার সময় চাপড়ায় বজ্রপাতে (Lightning) মৃত্যু হয় এক ব্যক্তির। কৃষ্ণগঞ্জেও জয়দেব মণ্ডল নামে বজ্রপাতে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়। ৫৩ বছরের ওই প্রৌঢ়ের বাড়ি  গোয়ারীর মন্ডলপাড়ায়। প্রশাসন জানিয়েছে, শনিবার বিকেলে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড় ও শিলাবৃষ্টি শুরু হয়েছিল। তখন আম বাগানের পাহারারত চার ব্যক্তি বাগানেরই কুঁড়েঘরে আশ্রয় নেন। কিন্তু ঘটনাস্থলে ওই কুঁড়ে ঘরেই বাজ পড়ে। তাতে ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়। বাকিরা জখম হন। এছাড়াও করিমপুরে প্রায় এক ঘন্টা যাবৎ ঝড় ও বৃষ্টি হয়। বৃষ্টিতে ডুবে যায় অনেক রাস্তাঘাট।  করিমপুরের বিভিন্ন জায়গায় গাছের ডাল ভেঙে পড়ে। গাছের ডাল ভেঙে চার চাকা গাড়ির উপর পড়ে যায়। অনেক জায়গাতেই বিদ্যুতের তার ছিড়ে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। অনেক দোকানের ফ্লেক্স বা বোর্ড উড়ে যায়। তবে হতাহতের কোনও খবর পাওয়া যায়নি। এই মরসুমে বজ্রপাতে মৃত্যুর ঘটনা অবশ্য এটিই প্রথম নয়। গত বৃহস্পতিবার বৃষ্টিপাতের জেরে গোটা পূর্ব বর্ধমান জেলাজুড়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছিল ৪ জন। আহত হন ১ জন। সম্প্রতি রাজ্যের একাধিক জেলায় বজ্রপাতে মারা গিয়েছেন বেশ কয়েকজন।


কলকাতাতেও ঝড়-বৃষ্টি:
কলকাতা ও লাগোয়া এলাকাতেও বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হয়েছে। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে কলকাতায় অবতরণ করতে পারেনি ৪টি বিমান। কলকাতা বিমানবন্দরের কাছে এসেও ফিরে যেতে হয়েছে ৪টি বিমানকে। মুষলধারে বৃষ্টি ও ঝড়ের জন্য অবতরণে সমস্যা হয়েছে। সেই কারণেই ফেরানো হয়েছে ৪টি বিমান। উত্তর ২৪ পরগনা, নদিয়ায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হয়েছে।


আরও পড়ুন: শরীরচর্চার সময় আচমকাই 'অ্যাজমা অ্যাটাক'! এই সমস্যা এড়াতে কী কী নিয়ম মেনে চলবেন?