সুজিত মণ্ডল, নদিয়া: হাফ প্যান্ট পরে ঢোকা যাবে না পঞ্চায়েত অফিসে। এমনই পোশাক ফতোয়া জারি করেছে নদিয়ার রানাঘাটের একটি গ্রাম পঞ্চায়েত। তালিবানি সিদ্ধান্ত, সমালোচনায় সরব হয়েছে বিজেপি। মহিলাদের আপত্তিতে সিদ্ধান্ত, পাল্টা দাবি প্রধানের। 


কসবার পর এবার নদিয়া। ফের সরকারি দফতরে পোশাক ফতোয়া! হাফ প্যান্ট পরে পঞ্চায়েত অফিসে ঢোকা যাবে না। এমনই নিষেধাজ্ঞা জারি করল রানাঘাট ১ নম্বর ব্লকের রামনগর ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত। তৃণমূল পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েতের এই বিজ্ঞপ্তি ঘিরেই শুরু হয়েছে তরজা। তালিবানি ফতোয়া বলে কটাক্ষ করেছে বিরোধীরা। 


রামনগর ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান সুজিত জোয়ারদারের কথায়, দুয়ারের সরকার চালু হওয়ার পর মহিলারা লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের জন্য পঞ্চায়েত অফিসে আসছেন। অনেক মহিলাই পুরুষদের ওই পোশাককে আপত্তি জানিয়েছেন। যে কারণে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। এই ফতোয়া নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে দেখা গিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। 


গত জুলাই মাসেই, কলকাতা শহরের বুকে, খাস কসবা থানায় পোশাক ফতোয়া জারি হয় বলে অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ, টি শার্ট, হাফপ্যান্ট পরে যাওয়ায়, কসবা থানায় ঢুকতে দেওয়া হয়নি এই দুই যুবককে। এরপর রানাঘাটে পোশাক ফতোয়া ঘিরে বিতর্ক ওঠে।  রানাঘাট ১ নম্বর ব্লকের বিডিও জানান, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।


কিছুদিন আগে কসবা থানায় পোশাক ফতোয়া নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়। টি-শার্ট, হাফ প্যান্ট পরে থানায় যাওয়ায় দুই যুবককে ঢুকতে না দেওয়ার অভিযোগ ওঠে কসবা থানার বিরুদ্ধে।
অভিযোগকারী দাবি করেন, বাড়ি সংলগ্ন মন্দিরে চুরি হওয়ায় থানায় অভিযোগ জানাতে যান। অভিযোগ, টি-শার্ট, হাফ প্যান্ট পরে যাওয়ায় তিনি ও তাঁর সঙ্গীকে থানার গেটেই আটকে দেওয়া হয়। পরে পোশাক বদলে থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। 


অভিযোগকারী দাবি করেন, থানায় পোশাক-বিধি রয়েছে কিনা কলকাতা পুলিশের ট্যুইটার হ্যান্ডেলে জানতে চাইলে, অভিযোগকারী অফিসে কী পরে যান, এনিয়ে পাল্টা প্রশ্ন তোলা হয়। কলকাতা পুলিশের ডিসি এসএসডি রশিদ মুনির খান জানান, তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দোষ প্রমাণ হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।