মলয় চক্রবর্তী, শিলিগুড়ি: নকশালবাড়ির কিরনচন্দ্র চা বাগানে একপাল হাতির লাইন পারাপার। শীতের আগমন শুরুর মুখেই ফের আনাগানা শুরু গজরাজের দলের। হাতির কোরিডর হিসেবে পরিচিত নকশালবাড়ির কিরণচন্দ্র চাবাগানের মধ্যে দিয়ে এদিন একপাল হাতির দলকে পারাপার করতে দেখা যায়। ৩০-৩৫টি হাতির দল এদিন চা বাগানের মধ্যে দিয়ে এশিয়ান হাইওয়ে সড়ক এবং রেললাইন পার করে ব্যাংডুবির জঙ্গলে ফিরে যায় বলে বনবিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে। শীতের আগমন হতেই হাতির দল খাবারের খোঁজে লোকালয়ে ঢুকে পরে। এদিনও সেই ঘটনা বলে বনদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে।
কিছুদিন আগেই ঝাড়গ্রাম শহর লাগোয়া ৬ নম্বর জাতীয় সড়কে দলমার দলছুট দাঁতাল হাতির দাপিয়ে বেড়ােনোর ছবি উঠে এসেছিল। হেঁটে বেড়াল এদিক-ওদিক। বালিভাষা এলাকায় হাতির দাপাদাপিতে একঘণ্টা জাতীয় সড়কে বন্ধ ছিল যান চলাচল। শেষমেষ বন দফতরের কর্মীরা গিয়ে দলছুট দাঁতালকে কব্জা করে জঙ্গলে ফিরিয়ে দেন।
অন্যদিকে, ডুয়ার্সের কারবালা চা বাগানে নালায় পড়ে যায় হস্তিশাবক। আটকে পড়ে হস্তি শাবক। চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। ডুয়ার্সের কারবালা চা বাগানের ঘটনা। বিন্নাগুড়ি স্কোয়াডের বন কর্মীরা ছুটে যান। বন্যপ্রাণী স্কোয়াডের রেঞ্জার শুভাশিস রায়, জলপাইগুড়ি অননারি ওয়াইল্ড লাইফ ওয়ার্ডেন সীমা চৌধুরী সহ বন কর্মীরা গিয়ে দেখেন, নালায় আটকে আছে হাতিটি । হস্তি শাবককে নালা থেকে উদ্ধারের চেষ্টা শুরু করেছেন। বনকর্মীদের অনুমান তাঁদের অনুমান, পাশেই রেতি জঙ্গল থেকে রাতে চা বাগানে ঢোকে হাতির দল। তাদের সঙ্গে হস্তিশাবক নালা পেরোতে গিয়ে পড়ে যায়। কয়েকঘণ্টার চেষ্টায় হস্তিশাবককে উদ্ধার করে সকালে জঙ্গলে ফেরান বন কর্মীরা।