সুজিত মণ্ডল, নদিয়া: যুদ্ধ পরিস্থিতিতে অনেক কষ্টে বেরোতে পেরেছিলেন ইউক্রেন থেকে (Russia Ukraine War)। কিন্তু এখনও বাড়ি ফেরা হয়নি তাঁর। উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশ গিয়ে এই মুহূর্তে কার্যতই উদ্বাস্তুর জীবন কাটাচ্ছেন রানাঘাটের অভিদীপ দত্ত (Ranaghat News)। তাতে চরম উৎকণ্ঠায় ভুগছেন তাঁর পরিবারের লোকজন। দেশে ফেরত অনেকের মতোই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তাঁরা। ইউক্রেনে ভারতীয় দূতাবাস পড়ুয়াদের বিশেষ সাহায্য করেনি বলে অভিযোগ তাঁদের।
নদিয়ার রানাঘাটের (Nadia News) অভিদীপ বোগোমোলেটস ন্যাশনাল মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটির চতুর্থ বর্ষের ছাত্র অভিদীপ। মাস দেড়েক আগেই বাড়িতে ছুটি কাটাতে এসেছিলেন। ইউক্রেন ফিরে গিয়েছিলেন জানুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে। কিন্তু এত তাড়াতাড়ি যে দেশে ফেরার উপক্রম করতে হবে তা বুঝতে পারেননি তিনি। প্রাণ বাঁচাতে ছেলেকে ভিন্ দেশে ছোটাছুটি করতে হবে, তা কল্পনা করেত পারেনি তাঁর পরিবারও।
কিন্তু গত বৃহস্পতিবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনে সেনা নামানোর ঘোষণা করার পর থেকেই সেখানে বসবাসকারী সাধারণ মানুষ তো বটেই ঘুম ছুটেছে প্রবাসী ভারতীয় পড়ুয়াদেরও। কোনও রকমে ইউক্রেন ছেড়ে বেরোতে সফল হলেও, আপাতত হাঙ্গেরিতে আটকে রয়েছেন অভিদীপ। এখনও পর্যন্ত তাঁর দেশে ফেরার সবুজ সঙ্কেত মেলেনি। তাই ছেলের চিন্তায় উৎকণ্ঠায় দিন কাটছে তাঁর মা-বাবার।
তবে শুধু রানাঘাটে অভিদীপের পরিবারই নয়, প্রবাসে পড়তে যাওয়া ভারতীয় পড়ুয়াদের সিংহভাগই সেখানকার দূতাবাসের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। বিপদে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ করেছেন। এমনকি দীর্ঘ পথ অতিক্রম করে পোল্যান্ড সীমান্তে যখন পৌঁছন তাঁরা, সেখানে অন্য দেশের প্রতিনিধিরা নিজেদের নাগরিকদের নিরাপত্তায় মোতায়েন থাকলেও, ভারতের কেউ উপস্থিত ছিলেন না বলেও অভিযোগ সামনে এসেছে।
ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী ভি মুরলীধরণ জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত ইউক্রেন থেকে ৬ হাজার ভারতীয়কে নিরাপদে ফিরিয়ে আনা গিয়েছে। তিনি বলেন, "যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনে আটকে থাকা ২০ হাজার ভারতীয়র মধ্যে ৬ হাজার জনকে এখনও পর্যন্ত ফেরানো গিয়েছে। বাকিদেরও নিরাপদে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে।"