নদিয়া: ফের পথ দুর্ঘটনার (Road Accident) বলি হলেন দুই পথযাত্রী। এবার ঘটনাস্থল নদিয়ার (Nadia) শান্তিপুর (Shantipur)। শুক্রবার সকালে শান্তিপুর থানার ফুলিয়ায় ১২ নম্বর জাতীয় সড়কের ওপর বেপরোয়া গতিতে আসা গাড়ির ধাক্কা মারে। এর পর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ঘাতক গাড়িটি দুর্ঘটনার পর পাল্টি হয়ে পড়ে যায় নয়ানজুলিতে।
জানা গিয়েছে, ১২ নং জাতীয় সড়ক ধরে রাণাঘাট (Ranaghat) থেকে কৃষ্ণনগর (Krishnanagar) দিকে আসছিল একটি মিনি ট্রাক। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, ওই ট্রাকটি আসার সময়ে রাস্তায় বেশ কয়েকজনকে ধাক্কা মারে এবং ফুলিয়া বাসস্ট্যান্ডের ওভার ব্রিজের কাছেই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি ব্যক্তিকে পিষেও দেয় ওই গাড়িটি। শেষ নয় এখানেই, এর পর রাস্তার ধারে বাস ধরার জন্য দাঁড়িয়ে থাকা যাত্রীদেরও সজরে ধাক্কা মারে ট্রাকটি।
তার পর ডিভাইডারের ধাক্কা মেরে নয়ানজুলিতে উল্টে পড়ে যায় ওই মিনি ট্রাকটি। গুরুতর জখম পথচারীকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। আহতদের ফুলিয়া প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে গেলে তাদের মধ্যে আরও এক মহিলাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। আহত দু’জন গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় শান্তিপুর থানার পুলিশ। প্রাথমিকভাবে অনুমান নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছিল মিনি ট্রাকটি। তবে চালকের বিষয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি।
আগেও একাধিক দুর্ঘটনা: কিছুদিন আগে মুকুটমণিপুর থেকে পিকনিক করে ফেরার পথে, বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরে গাড়ির সঙ্গে ম্যাটাডোরের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। গাড়ি চালকের মৃত্য হয় ঘটনায়। আহত হন গাড়ির দুই যাত্রী। সেবারও নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাশের নয়ানজুলিতে উল্টে পড়ে ডিম বোঝাই ম্যাটাডোর। গাড়িটিও দুমড়ে-মুচড়ে যায়। পুলিশ সূত্রে খবর, মেদিনীপুর থেকে গাড়ি করে এসেছিল ৬ জনের একটি দল। বাঁকুড়ায় শুশুনিয়া পাহাড় ঘুরে, মুকুটমণিপুরে পিকনিক সেরে ফেরার সময় রাত ৯টা নাগাদ ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কে বাঁকাদহ চেকপোস্টের কাছে দুর্ঘটনা ঘটে।
অন্যদিকে প্রিজন ভ্যানের ধাক্কায় স্কুটার চালকের মৃত্যু হয়েছিল কিছুদিন আগেই। এই অভিযোগে বিটি রোড অবরোধও করেন স্থানীয়রা। এদিন সকালে টিটাগড় থানার সামনে দুর্ঘটনাটি ঘটেছিল। অভিযোগ, প্রিজন ভ্যানের ধাক্কায় মৃত্যু হয় স্কুটার চালক সুজল হেলার। যদিও পুলিশের দাবি, স্কুটার চালক অটোর পিছনে ধাক্কা মারেন। পিছনেই ছিল পুলিশের প্রিজন ভ্যান। ওই প্রিজন ভ্যানে তুলে আহতকে হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশই।