প্রদ্যোৎ সরকার, নদিয়া: ভোট মিটে গিয়েছে। অধিকাংশ জায়গায় বোর্ডও গঠন হয়ে গিয়েছে। কিন্তু এখনও হিংসার ঘটনা (Panchayat Violence) এড়ানো যায়নি। নদিয়ার পলাশিপাড়ায় ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগ তুললেন SUCI কর্মী। তাঁর বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল এলাকার তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধে। আগুন নেভাতে যাওয়ায় দুষ্কৃতীরা গুলি চালায় বলেও অভিযোগ। জখম হয়েছেন এক SUCI কর্মী। যদিও গোটা অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল শিবির। ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে পলাশিপাড়া থানা।


পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Election) পর একমাস কেটে গেলেও, সন্ত্রাস থামার কোনও লক্ষণ নেই!দাউদাউ করে জ্বলছে বাড়ি, আগুন নেভাতে বালতিতে জল নিয়ে ছুটোছুটি। এমনই ছবি দেখা গেল নদিয়ার পলাশিপাড়ায়। আগুন নেভাতে গেলে গুলি করা হয় বলে অভিযোগ। গুলিবিদ্ধ SUCI কর্মীর নাম আরমান শেখ (৩৮)। তাঁর অভিযোগ, তিনি দেখতে গিয়েছিলেন বলে গুলি চালানো হয়েছে।


SUCI-র অভিযোগ:
রবিবার রাত ১০টা নাগাদপলাশিপাড়ার দলীয় কর্মী আমির আলি মল্লিকের বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। আগুন নেভাতে গেলে SUCI কর্মীদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ার পাশাপাশি করা হয় বোমাবাজি। গুলিবিদ্ধ SUCI কর্মীকে ভর্তি করা হয়েছে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে। ১০ অগাস্ট এলাকার পলসুন্ডা ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতে SUCI-এর সমর্থনে বোর্ড গঠন করে সিপিএম। এই পঞ্চায়েতে ১৯টি আসনের মধ্যে সিপিএম পায় ৮টি আসন। তৃণমূলের দখলে যায় ৭টি ও বিজেপি পায় ১টি আসন। অন্যদিকে ২টি আসন দখল করে SUCI এবং ১টি আসন পায় নির্দল। বোর্ড গঠনের দিন সিপিএমের জয়ী প্রার্থীকে পঞ্চায়েত প্রধান হিসাবে সমর্থন করে ভোট দেন SUCI-র  ২ জয়ী প্রার্থী। অভিযোগ, সেই আক্রোশেই SUCI কর্মীদের ওপর হামলা চালায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। SUCI-এর নদিয়া জেলা কমিটির সদস্য অঞ্জন মুখোপাধ্যায় বলেন, 'তৃণমূলের  দুষ্কৃতীরা আমাদের কর্মীর বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়। নেভাতে গেলে গুলি ছোড়ে, বোমাবাজি করে। এক কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছে।  পুলিশ সব কিছু জেনেও নিষ্ক্রিয় রয়েছে।'


সব অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূলের নদিয়া উত্তর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি কল্লোল খাঁর দাবি, এই হামলার সঙ্গে তাঁরা জড়িত নন।' তাহলে কারা SUCI কর্মীর বাড়িতে আগুন লাগাল? SUCI কর্মীকে লক্ষ্য করে গুলিই বা চালাল কারা? দুষ্কৃতীদের সন্ধানে তদন্ত শুরু করেছে পলাশিপাড়া থানা। 


আরও পড়ুন: পুলিশ নেই! তাই স্থগিত বোর্ড গঠন! জেলা প্রশাসনের নির্দেশে বিতর্ক