সুজিত মণ্ডল, গাংনাপুর: স্কুলে (School) যাওয়ার পথে তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্রকে (Student of class three) পিষে দিল আটা বোঝাই একটি লরি (Truck)। আজ সকালে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি (Accident) ঘটেছে নদিয়ার (Nadia) গাংনাপুর থানা (Gangnapur Police Station) এলাকার আঁইসমালী বেলেআটিপাড়া অঞ্চলে। দুর্ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়েছে মোমিন মণ্ডলের (৯)। এই দুর্ঘটনার পরেই স্থানীয় বাসিন্দারা ঘাতক লরিটিতে আগুন ধরিয়ে দেন। পরে রানাঘাট (Ranaghat) থেকে দমকলের (Fire Department) একটি ইঞ্জিন এসে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে। ঘাতক লরি ও লরি চালককে আটক করেছে গাংনাপুর থানার পুলিশ।


স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আঁইসমালী বেলেআটি পাড়াতেই মৃত পড়ুয়ার বাড়ি। মাধ্যমিক পরীক্ষা চলার কারণে এখন স্কুলে সকালে ক্লাস হচ্ছে। অন্যান্য দিনের মতোই আজ সকালেও বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে স্কুলে সাইকেল চালিয়ে যাচ্ছিল মোমিন। সেই সময় আঁইসমালী বাজার অঞ্চল থেকে ওই লরিটি দত্তফুলিয়ার দিকে যাচ্ছিল। হঠাৎই ওই পড়ুয়ার সাইকেলটিকে পিছন থেকে ধাক্কা দেয় লরিটি। এরপর লরির পিছনের চাকা ওই পড়ুয়াকে পিষে দেয়।


আরও পড়ুন কানাডায় মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনায় নিহত পাঁচ ভারতীয় ছাত্র


এরপরই ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা। স্থানীয়রা তাড়া করে লরিটিকে ধরে ফেলেন। আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় লরিটিতে। ওই সড়কে পণ্যবাহী ওভারলোডিং গাড়ি চলাচল না করার দাবি তোলেন তারা। সকালের দিকে বেশ কিছু সময় ওই সড়কে যান চলাচল ব্যাহত হয়। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে। পুলিশ আটক করেছে লরি চালককে।


কয়েকদিন আগেই মুর্শিদাবাদের বড়ঞায় মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। যাত্রা দেখে ফেরার পথে কালভার্টের গার্ডওয়ালে ধাক্কা মেরে নয়ানজুলিতে উল্টে যায় বাইক। এই দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান চার যুবক। প্রত্যেকেই মত্ত অবস্থায় ছিলেন বলে দাবি পুলিশের। দুর্ঘটনার পরদিন সকালে কুলি-সাঁইথিয়া রাজ্য সড়কে মোড্ডার কাছে নয়ানজুলি থেকে চারজনের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। মৃতরা বন্ধু ছিলেন বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।


মৃতদের পরিবারের দাবি, চারজন বন্ধু একটি মোটরবাইকে করে যাত্রা দেখতে গিয়েছিলেন। পুলিশের অনুমান, যাত্রা দেখে ফেরার পথে মোটরবাইকটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে কালভার্টের গার্ডওয়ালে ধাক্কা মেরে নয়নাজুলিতে পড়ে যায়। নয়ানজুলি থেকে দুর্ঘটনাগ্রস্ত মোটরবাইকটিকে উদ্ধার করেছে পুলিশ‍। তদন্তকারীদের অনুমান, মৃত চারজনই মত্ত ছিলেন। তাঁদের কারও মাথায় হেলমেট ছিল না।