কৃষ্ণনগর : কৃষ্ণনগর মুখ্য ডাকঘর থেকে দিনেদুপুরে লক্ষাধিক টাকা চুরির ঘটনায় শোরগোল পড়ে গেল এলাকায়। দিনেদুপুরে অফিস চলাকালীন পোস্ট অফিস চত্বর থেকে এই ভাবে চুরির ঘটনায় নিরাপত্তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে কৃষ্ণনগর কোতোয়ালি থানার পুলিশ।


কী ঘটনা ?


আজ দুপুরে অজয় বোস নামে পোস্ট অফিসের এক এজেন্ট গ্রাহকদের টাকা জমার দেওয়ার জন্য পোস্ট অফিসে যান। তিনি একটি টেবিলে টাকার ব্যগটি রেখে তাঁর পরিচিত এক মহিলাকে দেখতে বলে অফিসের ভিতরে কাজে যান। অভিযোগ, সেই সময় অজ্ঞাত পরিচয় এক ব্যক্তি ওই মহিলাকে বলেন তাঁর পায়ের কাছে টাকা পড়ে আছে। ওই মহিলা টাকা তোলার জন্য নিচু হন। উঠে দাঁড়াতেই দেখেন টাকার ব্যাগ উধাও। ওই অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিও উধাও। ওই ব্যগে এক লক্ষ পাঁচ হাজার টাকা ছিল বলে জানা গিয়েছে। 


গত সেপ্টেম্বর মাসে দিনেদুপুরে সোনার দোকানে (Gold Showroom Theft) চুরি করে চম্পট দিয়েছিল 'চোর'। হাপিস হয়ে যায় অন্তত দেড় লক্ষ টাকার সোনার গয়না, এমনই অভিযোগ জানান দোকান মালিক। ঘটনাটি ঘটে কৃষ্ণনগরের শক্তিনগরে (Nadia News)। প্রাথমিকভাবে জানা যায়, ক্রেতা সেজে দোকানদারকে বোকা বানানো হয়।


শক্তিনগরের একটি গয়নার দোকানে এসেছিল ওই 'ক্রেতা'। দোকান সূত্রে খবর পাওয়া যায়, সে সোনা ও রুপোর বিভিন্ন গয়নাও দেখে। বেশ কিছু ক্ষণ ধরে গয়না পছন্দ করার পর ড্রয়ার থেকে একটি সোনার গয়না ভর্তি কাগজের মোড়ক অলক্ষ্যে পকেটে ভরে নেয় সে, এমনই অভিযোগ দোকানদারের। তার পর আর সময় নষ্ট নয়। চম্পট দেয় ওই ব্যক্তি। বেশ কিছু ক্ষণ পর দোকানদার বুঝতে পারেন, খোওয়া গিয়েছে সোনার গয়নার মোরক। দোকানের সিসি ক্যামেরা খতিয়ে দেখতেই ধরা পড়ে গোটা কীর্তি। প্রায় দেড় লাখ টাকা মূল্যের গয়না চুরি হয়েছে বলে দাবি করেন গয়নার দোকানের মালিক। নদিয়ার এই ঘটনা কোনও বিচ্ছিন্ন বিষয় নয়। তার আগে কোতোয়ালি থানার ভালুকায় দুটি গয়নার দোকানে শাটার ভেঙে চুরি হয়েছিল। রানাঘাটেও একটি গয়নার শোরুমে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ফের ভরদুপুরে দুঃসাহসিক চুরির ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। খবর পেয়ে আশেপাশের লোকজন ছুটে আসেন ওই দোকানে। ঘটনাস্থলে আসে কোতোয়ালি থানার পুলিশ। 


চুরি মুর্শিদাবাদে-


এরাজ্যে সোনার দোকানে চুরির ঘটনার যেন শেষ নেই ! এবার মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলার ভরতপুরে সোনার দোকানে চুরির ঘটনা ঘটল। ভরতপুর থানা থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে এই ঘটনা ঘটে। প্রায় ৬০ লক্ষ টাকার সোনার গয়না চুরি গিয়েছে বলে দাবি। শুক্রবার সকালে এই ঘটনা জানাজানি হতেই এলাকায় শোরগোল পড়ে যায়। 


সংশ্লিষ্ট সোনার দোকানের মালিক জানান, শাটার তোলা অবস্থায় ছিল দোকান। প্রায় ৬০ লক্ষ টাকার সোনার গয়না মজুত ছিল।


মা সাবিনা ইয়াসমিন ও ছেলে মিলে ভরতপুর থানা সংলগ্ন এলাকায় এই সোনার দোকান চালান। রাতের অন্ধকারে দুষ্কৃতীরা এসে শাটার ভেঙে সোনার গয়না চুরি করে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ। ঘটনার জেরে কান্নায় ভেঙে পড়েন সোনার দোকানের মালিক।


এনিয়ে ইতিমধ্যেই ভরতপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে। সমগ্র ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।