সুজিত মণ্ডল, প্রদ্যোত্‍ সরকার, বগুলা: রামপুরহাটের (Rampurhat) বগটুই গ্রামের হত্যালীলার পর আগুন এখনও পুরোপুরি নেভেনি। ধোঁয়া উঠছে পোড়া ধানের গোলা থেকে। এই ঘটনা নিয়ে রাজ্য উত্তাল। এরই মধ্যে নদিয়ায় (Nadia) তৃণমূল (TMC) নেতাকে লক্ষ্য করে গুলি (Firing) চালানোর অভিযোগ বিজেপির (BJP) বিরুদ্ধে। বগুলায় নিজের বাড়ির সামনেই গুলিবিদ্ধ হন তৃণমূল নেতা। গুলি চালানোর অভিযোগ অস্বীকার করেছে গেরুয়া শিবির।


বাড়ির সামনে গুলিবিদ্ধ তৃণমূল নেতা


ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার সন্ধে সাড়ে সাতটা নাগাদ। গুলিবিদ্ধ শাসক দলের নেতা ও বগুলা ২নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্যা অনিমা মণ্ডলের স্বামী সহদেব মণ্ডল। আহত তৃণমূল নেতার স্ত্রী জানিয়েছেন, সন্ধেবেলা বাড়ির কাছে একটি খেলার মাঠে দাঁড়িয়েছিলেন সহদেব। অন্ধকারের মধ্যে কেউ তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। গুলি লাগে তাঁর মাথায়। 


গুলিবিদ্ধ তৃণমূল নেতাকে আনা হল কলকাতায়


এই ঘটনার পরই আহত তৃণমূল নেতাকে নিয়ে যাওয়া হয় বগুলা গ্রামীণ হাসপাতালে। সেখান থেকে শক্তিনগর হাসপাতাল ও জেএনএম হাসপাতাল হয়ে নিয়ে যাওয়া হয় কলকাতার এনআরএস হাসপাতালে।


বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ


এই ঘটনায় ঘটনায় অভিযোগের আঙুল উঠেছে বিজেপির দিকে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে গেরুয়া শিবির।


বগটুইয়ে মৃত ৮


রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে তৃণমূল উপপ্রধান ভাদু শেখ খুনের পরই শিশু, মহিলা-সহ আটজনকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারার ঘটনা ঘটে। দু’টি ঘটনার মধ্যে সময়ের ব্যবধান মাত্র এক ঘণ্টা। ফলে তৃণমূল নেতা খুনে অভিযুক্তরাই নৃশংস হত্যালীলার সঙ্গে জড়িত কিনা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। 


ভাদু শেখের রাজনৈতিক জীবন


অন্যদিকে, নিহত তৃণমূল উপপ্রধান ভাদু শেখের রাজনৈতিক উত্থান ছিল নজরকাড়া। ভাদুকে প্রথমে লোকে চিনত থানার গাড়ি চালক হিসেবে। সেখান থেকে থানার ডাক মাস্টার হন ভাদু। ১০ বছর আগে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য হওয়ার পর পাঁচ বছর আগে ভাদুকে উপ প্রধান করা হয়। স্থানীয় সূত্রে খবর, ভাদু শেখ খুনে অভিযুক্ত সোনা শেখ, পলাশ শেখ, নিউটন শেখরা একসময় তৃণমূল নেতার ঘনিষ্ঠ ছিলেন। এদের বিরুদ্ধেই গত জানুয়ারি মাসে ভাদুর দাদা বাবর শেখকে খুনের অভিযোগ ওঠে। স্থানীয়দের একাংশের দাবি, বালি খাদান নিয়ে দু’টি গোষ্ঠীর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই বিবাদ চলছিল। তার জেরেই খুন হন ভাদু শেখ।