সুজিত মণ্ডল, নদিয়া: তৃণমূলে যোগ দিলেন বিজেপির বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার দুই বহিষ্কৃত নেতা-নেত্রী। বৃহস্পতিবার ঘাসফুল শিবিরে যোগ দেন বিজেপির মহিলা মোর্চার বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার প্রাক্তন সভানেত্রী উত্তরা বাউড়ি ও বিজেপির কিষাণ মোর্চার বহিষ্কৃত জেলা সভাপতি বুদ্ধদেব মালো। উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাণাঘাট সাংগঠনিক জেলার সভাপতি রত্না ঘোষ সহ জেলা সভাধিপতি রিক্তা কুন্ডু ও তৃণমূলের স্থানীয় নেতৃত্বের আরও কয়েকজন।
বুধবার বিজেপির মহিলা মোর্চার রাজ্য কমিটি উত্তরা বাউড়িকে চিঠি দিয়ে বহিস্কারের কথা জানিয়ে দেয়। তাঁদের বিরুদ্ধে দলবিরোধী কাজের অভিযোগ ছিল। এর পরদিনই তৃণমূলে যোগ দেন তিনি। পাশাপাশি এদিন একই মঞ্চে বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার বিজেপির কিষান মোর্চার বহিষ্কৃত জেলা সভাপতি বুদ্ধদেব মালো তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেন।
তৃণমূলে যোগদান করে উত্তরা বাউড়ি বলেন, ' দলীয় কোন শৃঙ্খলা নেই বিজেপিতে। গেরুয়া শিবির মহিলাদের ক্ষমতায়নে বিশ্বাস করে না। বিজেপিতে থেকে মানুষের জন্য কাজ করতে পারছিলাম না। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়ন দেখে অনুপ্রাণিত হয়েই বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করলাম।'
২৬ অগাস্ট বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নদিয়ার কল্যাণী ঋত্বিক সদনে তাঁদের সঙ্গে তৃণমূলে যোগ দেয় বিজেপি থেকে আসা প্রায় ২ হাজার কর্মী সমর্থক । রাণাঘাট সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি রত্না ঘোষ কর বলেন, ' যাঁরা ভুল বুঝে বিজেপিতে চলে গিয়েছিলেন তাঁরা অনেকেই তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেছেন।'
অন্যদিকে দলত্যাগ প্রসঙ্গে কল্যাণী শহর মন্ডল সভাপতি বিশ্বরূপ কুলভী বলেন,বিজেপি তাদের পদ থেকে অব্যাহতি আগেই দিয়ে দিয়েছে। তারপর তারা যেখানে খুশি সেখানে যদি পারেন। দলের থেকে তাদের যে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল, তারা তাদের কার্যকারিতা প্রমাণ করতে পারেননি। কোন কিছু পাওয়ার আশায় বিজেপিতে আসলে তাহলে বিজেপি দলটা করা যায় না। সেটা অন্যান্য দলের ক্ষেত্রে হয়। তাদের দলত্যাগ করাতে বিজেপির কোন ক্ষতি হবে না।