প্রদ্যোৎ সরকার, কৃষ্ণনগর: নদিয়ার কৃষ্ণনগরে চিকিত্সার গাফিলতিতে প্রসূতি মৃত্যুর অভিযোগে নার্সিংহোমে ভাঙচুর। মৃতার আত্মীয়রা ভাঙচুর চালান বলে অভিযোগ।
এই ঘটনা ঘটেছে কৃষ্ণনগরের বেদিখালিতে। সন্তানের জন্মের কিছুক্ষণ পর ওই মহিলার মৃত্যু হয়। এরপরই চিকিত্সায় গাফিলতির অভিযোগে শুরু হয় তাণ্ডব। পরে কোতোয়ালি থানার পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। নার্সিংহোম সূত্রে খবর, সদ্যোজাত সুস্থ রয়েছে। তবে চিকিত্সার গাফিলতির অভিযোগ প্রসঙ্গে নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
কিছুদিন আগেই একইরকম ঘটনা দেখা যায় মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জের একটি নার্সিংহোমে। সামশেরগঞ্জের দক্ষিণ হিজলতলার বাসিন্দা আব্দুল কাশিমের (৬০) মৃত্যু ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। মালিককে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান মৃতের আত্মীয়রা। শেষপর্যন্ত ঘেরাওমুক্ত করে তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে যায় পুলিশ। নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের দাবি, অবস্থা খারাপ থাকায় চেষ্টা করেও বাঁচানো যায়নি ওই রোগীকে।
পরিবার সূত্রে খবর, হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ায় আব্দুল কাশিমকে নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়েছিল। দু’দিনের মাথায় তাঁর মৃত্যু হয়। চিকিৎসার গাফিলতিতেই তাঁদের রোগীর মৃত্যু হয়েছে, এই অভিযোগ তুলে নার্সিংহোমের মালিককে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন মৃতের আত্মীয়রা। নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষও পাল্টা দাবি করে, রোগীর অবস্থা খারাপ থাকায়, চেষ্টা করেও তাঁকে বাঁচানো যায়নি। এই নিয়ে চলতে থাকে বাদানুবাদ। পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে, শেষ পর্যন্ত পুলিশকে ঘটনাস্থলে গিয়ে নার্সিংহোমের মালিককে ঘেরাওমুক্ত করতে হয়।
অন্যদিকে, গত মাসে পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালে চিকিৎসার গাফিলতিতে সদ্যোজাতর মৃত্যুর অভিযোগ ওঠে। শিশুটির পরিবারের অভিযোগ, নার্সিংহোমে ভর্তি হওয়ার পর কন্যাসন্তানের জন্ম দেন প্রসূতি। প্রাথমিকভাবে মা ও শিশু সুস্থ রয়েছে বলে নার্সিংহোমের পক্ষ থেকে জানানো হলেও, পরে শিশুটির অবস্থার অবনতি হয়। সেইসময় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দেখেননি। আশঙ্কাজনক অবস্থায় শিশুটিকে অক্সিজেন ছাড়াই বাইকে করে নার্সিংহোমের এক কর্মী ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। মৃত শিশুটির পরিবার ঘাটাল থানায় অভিযোগ দায়ের করে। গাফিলতির অভিযোগ অস্বীকার নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের।