সুজিত মণ্ডল,নদিয়া: সদ্য উত্তর দিনাজপুরের (North Dinajpur) রায়গঞ্জে চাঁদার ইস্যুতে মহিলা-সহ ৩ জনকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। আর এবার ২৪ ঘণ্টা পেরোনোর আগেই ফের চাঁদা নিয়ে জুলুমের অভিযোগ উঠল নদিয়া জেলায়। এবার চাঁদার দাবিতে চিকিৎসককে মারধরের অভিযোগ। দোষীদের গ্রেফতারির দাবিতে ইতিমধ্যেই তুলকালাম পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। নদিয়ার ফুলিয়ায় (Nadia Phulia) শুরু হয়েছে বিজেপির বিক্ষোভ (BJP Agitation)। পুলিশ ফাঁড়ির সামনে বিক্ষোভ ঘিরে তুমুল উত্তেজনা তৈরি হয়েছে।


গতকালই চাঁদার 'জুলুম'ঘিরে প্রকাশ্যে আসে বিস্ফোরক অভিযোগ রায়গঞ্জে। স্বামী-ছেলে-সহ মহিলাকে মারধরের অভিযোগ ওঠে ক্লাব সদস্যদের বিরুদ্ধে। এতটাই মারধর করা হয়, যে  রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আক্রান্ত মহিলাকে ভর্তি করতে হয়। এমনকি জমা দেওয়া চাঁদার পরিমাণটা নেহাত কম ছিল না। তারপরেও গুণতে হয় মাশুল। '১ হাজার টাকা চাঁদা দেওয়ার পরও ফের চাঁদা দাবি'। দ্বিতীয়বার চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় মার, দোকানে ভাঙচুরের অভিযোগ তুলেছেন ওই মহিলা। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূলের স্থানীয় পুর-কোঅর্ডিনেটর ও ক্লাবের সভাপতি। 


পুলিশের সঙ্গে বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের ধস্তাধস্তি। পুলিশের ব্য়রিকেড উল্টে দিলেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। নদিয়ার শান্তিপুরে চাঁদার দাবিতে চিকিৎসককে মারধরের ঘটনায় মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতারের দাবিতে ফুলিয়া পুলিশ ফাঁড়িতে বিজেপির বিক্ষোভ ঘিরে উত্তেজনা ছড়াল। রবিবার শান্তিপুরের ফুলিয়া ঘোষপাড়ায় চাঁদার দাবিতে সুজন দাস নামে এক চিকিৎসককে মারধরের অভিযোগ ওঠে।


স্থানীয় একটি বারোয়ারি পুজো কমিটির সদস্য়রা ওই চিকিৎসকের কাছে কালীপুজোর চাঁদা চান।কাছে টাকা না থাকায় চাঁদা দিতে পারেননি তিনি।এনিয়ে বচসা শুরু হলে তাঁকে রাস্তায় ফেলে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।  অসুস্থ অবস্থায় কল্যাণী জেএনএম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই চিকিৎসক। ঘটনায় এক অভিযুক্তকে পুলিশ গ্রেফতার করলেও মূল অভিযুক্ত-সহ বাকিরা এখনও অধরা। মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতারের দাবিতে শুক্রবার ফুলিয়া পুলিশ ফাঁড়িতে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি। থানায় ঢোকার চেষ্টা করেন বিজেপি-কর্মী সমর্থকরা। বাধা দিলে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়ান তাঁরা।  


 রানাঘাট বিজেপি সাংসদ  জগন্নাথ সরকার বলেছেন,'অপরাধীকে ধরতে হবে। একজন ডাক্তার তাঁর জীবন মৃত্য়ু লড়াই চলছে। ওসি সাহেব এসে বলছেন আলোচনা। আলোচনার কী আছে। আলোচনা করতে হলে আমি এসপির সঙ্গে আলোচনা করব। স্বৈরতান্ত্রিক একটা চোরের সরকার চলছে। পুলিশ এখন তোলাবাজ, চোরকে, ধর্ষককে রক্ষা করছে।'


আরও পড়ুন, SSC নিয়োগ দুর্নীতি মামলার জন্য গঠন হল নতুন ডিভিশন বেঞ্চ


রানাঘাট সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেস  সভাপতি দেবাশিস গঙ্গোপাধ্য়ায়  বলেছেন,'যে ঘটনাটা ঘটেছে এবং যেভাবে তার ব্য়াখ্যা হচ্ছে তার একটা পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করে দেখতে পারলে পরিষ্কার হয়ে যাবে। পুলিশ আইনগত ব্য়বস্থা করেছে। ইতিমধ্য়েই এক জন গ্রেফতার হয়েছে। বিজেপি অযথা এটা নিয়ে একটা রাজনৈতিক স্টান্টবাজি করতে চাইছে। রাস্তায় দাঁড়িয়ে চাঁদা তোলা অনভিপ্রেত।কিন্তু, যেভাবে ব্য়াখ্যা করা হচ্ছে তার কতটা সত্য়তা আছে যাচাই করা দরকার।' বৃহস্পতিবার আক্রান্ত চিকিৎসককে দেখতে হাসপাতালে যান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এদিন মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ দেখাল বিজেপি।