উত্তর চব্বিশ পরগনা:  নৈহাটির বড় মা। এক সময় ছিল ভবেশ-কালী। বাড়ির পুজো। তারপর আস্তে আস্তে তিনি হয়ে উঠেছেন গোটা নৈহাটির বড় মা (Boro Maa Annakut) । বড়-মা-র টানে এখন দূর দূরান্ত , ভিনরাজ্য, এমনকী বিদেশ থেকেও ছুটে আসেন ভক্তরা। সকলেরই বিশ্বাস, বড় মার কাছে সৎভাবে কিছু চাইলে তিনি ফেরান না। সকলের উপর আশীর্বাদ উজাড় করে দেন তিনি। নৈহাটির বড়-মার সম্প্রতি শতবর্ষ উদযাপন হয়েছে। কালীপুজোয় মায়ের থানে উপচে পড়ে দেশ-বিদেশের ভক্তদের ভিড়। তবে এখানে বছরের ১২ টি অমাবস্যাতেই বিশেষ পুজো হয়। বিশেষত বৈশাখী অমাবস্যায়। আয়োজন হয় বিরাট অন্নকূটের। এমন বিরাট অন্নকূট দেখা যায় না বড় একটা। 


মঙ্গলবার বৈশাখী অমাবস্যায় নৈহাটি দেখল এক অভূতপূর্ব অন্নকূট। ভাবা হয়েছিল,  ৩ হাজার কেজির অন্নভোগ দেওয়া হবে মা-কে । তারপর তা বিতরণ করা হবে মা-কে। কিন্তু দেবীর টানে যেভাবে ছুটে এলেন ভক্তরা, তাতে ৩ হাজার কেজি ভোগেও কুলালো না। রাত ৯ টার মধ্যে রান্না হল সাড়ে ৪ হাজার কেজির অন্নভোগ। তা আগে উৎসর্গ করা হল বড়-মাকে। তারপর তা বিলি করা হল ভক্তদের। 


দেবীদর্শন ও প্রসাদ পেতে এদিন নৈহাটিতে এলেন হাজার হাজার মানুষ। বড়মার ট্রাস্টি মেম্বার অয়ন সাহা জানালেন, এখনও নির্দিষ্ট সংখ্যা জানা যায়নি। তবে ৭০-৮০ হাজার মানুষ এলেন মায়ের প্রসাদ পেতে। বহুজন মানত পূরণ করলেন। কাটলেন দণ্ডি। 


অয়ন সাহা জানালেন, সারা বছরে ১২ টি অমাবস্যায় ( Vaishakh Amavasya 2024) বড় মা-র বিশেষ পুজো হয়। তার মধ্যে এই বৈশাখী অমাবস্যায় পুজো হয় সকালে। আর মা-কে অর্পণ করা ভোগ তুলে দেওয়া হয় হাজার হাজার ভক্তদের হাতে। ভোগে ছিল, পোলাও, পাঁচ রকমের ভাজা, ফল, মিষ্টি। বৈশাখী অমাবস্যা তিথি হিন্দুদের কাছে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। তাই এদিন বহু মানুষই এদিন মা কালীকে পুজো দিতে চান। তাই এমনিই বড়-মার মন্দিরে ভিড় হয় এদিন। সেই সঙ্গে অন্নকূটের সৌজন্যে বড়-মা দর্শনে এলেন অন্যরাজ্যের মানুষও। সকাল থেকে যে লাইন পড়েছিল, সেই লাইন রইল রাত অবধি। 


কেউ এলেন প্রার্থনা নিয়ে, কেউ এলেন প্রার্থনা পূরণের তৃপ্তি নিয়ে। হাসি-কান্না, প্রার্থনা-আর্তি, নানারকম আবেগে এদিন ভরে রইল বড়-মার মন্দির। 


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে


আরও পড়ুন :


রবীন্দ্রজয়ন্তীতে ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি দক্ষিণবঙ্গজুড়ে, কলকাতায় তাণ্ডব কালবৈশাখীর?