বিটন চক্রবর্তী, নন্দীগ্রাম: নন্দীগ্রাম ১ পঞ্চায়েত সমিতির (Panchayat Samiti) দখল নিল বিজেপি। টসে জিতে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি হলেন বিজেপির (BJP) শ্যামল সাহু। পঞ্চায়েত সমিতিতে তৃণমূল ও বিজেপি উভয়ের দখলেই ছিল ১৫টি করে আসন। শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) খাসতালুকে টসে জিতে পঞ্চায়েত সমিতির দখল নিল বিজেপি।


২১-এর বিধানসভা ভোটের পর ২৩-এর পঞ্চায়েত নির্বাচনেও নন্দীগ্রামে ভাল ফল করেছে বিজেপি। এবার পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড গঠনেও শুভেন্দু অধিকারীর বিধানসভা কেন্দ্রে বাজিমাত করল গেরুয়া শিবির। নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রের দুটি পঞ্চায়েত সমিতিতেই বোর্ড গড়ল বিজেপি। তার মধ্যে নন্দীগ্রাম এক নম্বর পঞ্চায়েত সমিতিতে লটারিতে এবং নন্দীগ্রাম দু'নম্বর পঞ্চায়েত সমিতিতে ভোটাভুটিতে জিতল গেরুয়া শিবির। সোমবার পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড গঠনেও নজরে ছিল একুশের বিধানসভা ভোটের এপিসেন্টার নন্দীগ্রাম।


নন্দীগ্রাম ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতিতে মোট আসন ৩০। তৃণমূল ও বিজেপি দু'দলই ১৫টি করে আসনে জয়ী হয়। ভোটাভুটিতে ফল না হওয়ায় করা হয় লটারি। তাতে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি নির্বাচিত হলেন বিজেপির শ্যামল কুমার সাহু। লটারিতে সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন তৃণমূলের জয়ন্তী মণ্ডল।বোর্ড গঠনের শুরুতেই এদিন উত্তেজনা ছড়ায় নন্দীগ্রাম এক পঞ্চায়েত সমিতিতে। নন্দীগ্রাম থানার আইসি-র কাছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে বহিরাগতদের নিয়ে পঞ্চায়েত সমিতিতে ঢোকার অভিযোগ জানায় বিজেপি। পঞ্চায়েত সমিতির অফিসের সামনে জড়ো হন বিজেপি কর্মীরা। বিজেপির জমায়েত হটায় পুলিশ। অশান্তির আশঙ্কায় মোতায়েন করা হয় র‍্যাফ। বোর্ড গঠনকে কেন্দ্র করে এদিন উত্তেজনা ছড়ায় পূর্ব মেদিনীপুরের শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকেও। সেখানে বিজেপি কর্মীরা জমায়েত করলে তাঁদের হঠিয়ে দেয় পুলিশ। অন্য়দিকে, নন্দীগ্রাম ২ পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ডও এদিন গঠন করল বিজেপি। বর্ণালী মণ্ডল পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি এবং মমতা পাত্র সহ-সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ২৫টি পঞ্চায়েত সমিতিরই বোর্ড গঠন হল এদিন। তৃণমূল ২১টি  ও বিজেপি ৪টি পঞ্চায়েত সমিতিতে বোর্ড গড়ল।


এদিকে মালদায় ২টি পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড গঠন প্রক্রিয়া বন্ধ রাখার নির্দেশ দিল প্রশাসন। জেলার ১৫টি পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড গঠন আজই হবে বলে এর আগে নোটিস জারি হয়। গতকাল রাতে হবিবপুর ও হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড গঠন প্রক্রিয়া স্থগিত রাখার নির্দেশ দেন জেলাশাসক। নিরাপত্তার জন্য পর্যাপ্ত পুলিশের অভাব রয়েছে, এই কারণ দেখিয়ে বোর্ড গঠন স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। এর পিছনে রাজনৈতিক কারণ দেখছে বিরোধীরা। তাদের দাবি, হবিবপুর ও হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতি তৃণমূলের হাতছাড়া হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলেই বোর্ড গঠন প্রক্রিয়া আটকাতে চাইছে প্রশাসন। তৃণমূলের দাবি, এটা প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত। এর পিছনে রাজনীতি নেই। 


আরও পড়ুন: North 24 Parganas Weather: জোড়া ঘূর্ণাবর্তের জের, বৃষ্টি বাড়বে উত্তর ২৪ পরগনায়