বিটন চক্রবর্তী, পূর্ব মেদিনীপুর: বুধবারের সেই রেশ রয়ে গেল শুক্রতেও। দলীয় পতাকা উত্তোলনকে কেন্দ্র করে ফের রণাঙ্গনে দুই পক্ষ। টিএমসিপি-এবিভিপি সংঘর্ষে আজও উত্তাল হল পূর্ব মেদিনীপুর নন্দীগ্রামের সীতানন্দ কলেজ। আহত হলেন দুই পক্ষের বেশ কয়েকজন।
ফের রণাঙ্গনে টিএমসিপি-এবিভিপি। বহিরাগত ইস্যুতে, দুই পক্ষের সংঘর্ষে শুক্রবারও উত্তাল হল পূর্ব মেদিনীপুর নন্দীগ্রামের সীতানন্দ কলেজ। ভাঙল মনীষীর ছবি। ছড়িয়ে ছিটিয়ে গেল টেবিল চেয়ার। সংঘর্ষের জেরে তছনছ হল কলেজের ইউনিয়ন রুম। এবিভিপির অভিযোগ, গত বুধবারের ঝামেলা নিয়ে, শুক্রবার, অধ্যক্ষের কাছে ডেপুটেশন জমা দিতে গিয়েছিল তারা। এরপর, কলেজের ভেতরে দলীয় পতাকা লাগানোর সময় বাধা দেয় তৃণমূল। সীতানন্দ কলেজের এবিভিপি সভাপতি সুজন ভুঁইয়া বলেন, " সীতানন্দ কলেজ নাকি সীতানন্দ পার্টি অফিস? তৃণমূল এই কলেজটাকে ভাবছে একটা পার্টি অফিস...কলেজ একটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জায়গা।''
পাল্টা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের অভিযোগ, কলেজ পাস হয়ে গিয়েছে, এমন ছাত্রদের নিয়ে শুক্রবার, কলেজ ইউনিয়নের ঘরে ভাঙচুর চালিয়েছে এবিভিপির দল। কলেজের টিএমসিপি সভাপতি সুমিত মণ্ডল বলেন, "অবৈধ এবিভিপি। বিজেপি থেকে উস্কানি দিয়ে পাঠিয়েছে ওই এবিভিপির কয়েকজন ছেলেকে, তাঁরা এসে সজোরে এই ছেলেটিকে মারে...যেটা ওদের কালচার।...ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে একটা রাজনৈতিক বিষ ঢুকিয়ে দিচ্ছে।''
অন্যান্য কলেজের মতো, কয়েক বছর ধরেই নন্দীগ্রামের সীতানন্দ কলেজে, ছাত্র নির্বাচন হচ্ছে না। সেই নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই ছাত্রদের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ রয়েছে। গত এক মাস আগে, সরস্বতী পুজো নিয়েও উত্তাল হয় কলেজ চত্বর। শেষমেশ পুলিশি প্রহরায় মেটাতে হয় বাগ্দেবীর আরাধনা। এবারও সেই কলেজে ফের রণাঙ্গনে সবুজ-গেরুয়া। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে যায় নন্দীগ্রাম থানার পুলিশ। যোগাযোগ করা হলে, কলেজের অধ্যক্ষ জানান, তিনি এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করবেন না।
এর আগে কলেজ প্রাঙ্গণে বহিরাগতের আসা নিয়ে ঝামেলার সূত্রপাত হয়। সেইসময়, অধ্যক্ষের ঘরে চলছিল গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক। অভিযোগ, আচমকা সেখানে ঢুকে পড়ে দুই পক্ষ। অধ্যক্ষের সামনেই শুরু হয় আরেকপ্রস্থ বাদানুবাদ। মুহূর্তে, তা মোড় নেয় মারামারিতে। সেই রেশ রয়ে গেল শুক্রবারও।
আরও পড়ুন: North 24 Parganas: গণপিটুনিতে মৃত্যু মাছ ব্যবসায়ীর, দোষী সাব্যস্ত পানিহাটির TMC কাউন্সিলর