বিটন চক্রবর্তী, নন্দীগ্রাম: নন্দীগ্রামে (Nandigram News) দলীয় কর্মী সমর্থকদের বিক্ষোভের মুখে প্রাক্তন তৃণমূল (TMC)সাংসদ দোলা সেন। দোলা সেনের সামনেই উঠল তৃণমূলের ব্লক সভাপতিকে অপসারণের দাবি। যদিও কোনও বিক্ষোভ হয়নি বলে দাবি করেছেন প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ। 


নন্দীগ্রামের এক নম্বর ব্লকের দলীয় কার্যালয়ে আজ নন্দীগ্রামের দু'টি ব্লকের গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান, উপপ্রধান, ব্লক সভাপতি পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যদের নিয়ে বৈঠক ডেকেছিলেন তৃণমূল নেতৃত্ব। রাজ্য নেতৃত্বও উপস্থিত ছিলেন। দোলা সেন, তমলুক সাংগঠনিক জেলা সভাপতি তুষার মণ্ডল উপস্থিত ছিলেন। 


এই বৈঠকে নন্দীগ্রাম পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি তথা নন্দীগ্রাম আন্দোলনের অন্যতম মুখ আবু তাহের-সহ (Abu Taher) তার অনুগামীরা কেউ আমন্ত্রণ পাননি বলে অভিযোগ। সেই নিয়ে বৈঠকের শুরুর আগে ক্ষোভে ফেটে পড়েন অনুগামীরা। পার্টি অফিসের বাইরে বিক্ষোভ থেকে নন্দীগ্রাম ব্লকের বর্তমান সভাপতি স্বদেশ দাসের অপসারণের দাবিও ওঠে। দোলা সেন এলে তাঁকে ঘিরেও বিক্ষোভ দেখান সকলে। 


তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের অভিযোগ,  বিধানসভা নির্বাচনে যাঁরা মমতাকে ষড়যন্ত্র করে  হারিয়েছেন, আজ তাঁদেরই বৈঠকে ডাকা হচ্ছে। যাঁরা দলের হয়ে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন, তাঁদের কোনও গুরুত্ব দিচ্ছেন না দলীয় নেতৃত্ব। যদিও কোনও বিক্ষোভ হয়নি বলে দাবি করেন দোলা।


নন্দীগ্রামে তৃণমূলের বৈঠক ঘিরে অশান্তি


বৃহস্পতিবার দুপুর ২টোয় নন্দীগ্রামে তৃণমূলের কার্যালয়ে এই বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। বিধানসভার সব দলীয় পদাধিকারী সঙ্গে রাজ্য নেতৃত্বরও বৈঠকে যোগ দেওয়ার কথা ছিল। সেই মতো দুপুরে সেখানে পৌঁছন দোলা। কিন্তু আগে থেকেই কার্যালয়ের কাছে বিডিও অফিস চত্বরে জড়ো হয়েছিলেন তৃণমূলের স্থানীয় কর্মী-সমর্থকেরা। দোলাকে দেখেই ঘইরে ধরেন সকলে। আবু তাহেরর সপক্ষে ধ্বনি তুলতে শুরু করেন। সেখানে কোনও রকমে দোলা জানান, তমলুক সাংগঠনিক জেলার সভাপতি হিসেবে তুষার মণ্ডলের নাম ঘোষণা করেছেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়


আরও পড়ুন: Hanskhali rape case : ' এটা মাথায় রেখে প্রতিবাদ করা উচিত' হাঁসখালিকাণ্ড নিয়ে নিন্দা করার আগে কী ভাবতে বললেন সুখেন্দুশেখর?


এ দিন বিক্ষোভ চলাকালীন ব্লক সভাপতি স্বদেশ দাসকে অপসারণের দাবিও ওঠে। কোনও রকমে সেই বিক্ষোভের মধ্যে থেকে বেরিয়ে আসেন দোলা। কিন্তু বিক্ষোভের কথা মানতে চাননি তিনি। বরং এবিপি আনন্দের ক্যামেরার সামনে বলেন, “কোনও বিক্ষোভ হয়নি। সুষ্ঠ ভাবেই কথা হয়েছে কর্মীদের সঙ্গে। বৈঠকও হয়েছে সুষ্ঠ ভাবেই।”


মমতাকে সব জানাবেন আবু!


কিন্তু এ নিয়ে কোনও রাখঢাক করেননি আবু। তিনি বলেন, “যাঁরা মমতা বন্দোপাধায়কে হারাতে সক্রিয়, তাঁদের নিয়ে বৈঠক হচ্ছে। কলকাতায় গিয়ে নেত্রীকে জানাব।” আবু আরও বলেন, “আজকের দিনে দাঁড়িয়ে অনুরোধ করব, আমরা তৃণমূল করি। সুশৃঙ্খল ভাবেই দল করব। কেউ বিশৃঙ্খলা করবেন না। এখন রাস্তায় দেখতে পেয়ে বলছে, মিটিংয়ে আসুন। আমরা উপযাজক হয়ে যাইনি। কিন্তু না গেখতে পেলে কি ডাকত? বিজেপি-র ঝান্ডা নিয়ে মমতাকে হারিয়েছিল যাঁরা, আজ তাঁদের বৈঠকে ডাকা হয়েছে। ঘাড় ধরে বের করব সকলকে।”