বিটন চক্রবর্তী, পূর্ব মেদিনীপুর: দ্বিতীয় দফার উপনির্বাচনেও শেষ হচ্ছে না তৃণমূল - বিজেপি দ্বৈরথ। ভোটপর্ব মিটতেই শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari)গড় নন্দীগ্রামকে (Nandigram) পাখির চোখ করে রাজনৈতিক তৎপরতা বাড়াতে চলেছে রাজ্যের শাসকদল। 



২০০-র বেশি আসন নিয়ে তৃতীয়বারের জন্য রাজ্যে ক্ষমতায় ফিরলেও, তৃণমূলের হাতছাড়া হয়েছে নন্দীগ্রাম বিধানসভা আসন। শুক্রবার নন্দীগ্রাম ১ নম্বর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস পার্টি অফিসে একটি সাংগঠনিক বৈঠক হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সুব্রত বক্সি, দোলা সেন। 

তৃণমূল সূত্রে খবর, বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, ১লা নভেম্বর থেকে নন্দীগ্রামের প্রতিটি বুথে দলের তরফে কালো পতাকা নিয়ে প্রতিবাদ মিছিল করা হবে। ৭ই নভেম্বর নন্দীগ্রামের কলেজ মাঠে আয়োজিত হবে তৃণমূলের কর্মিসভা। গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের পাশাপাশি একাধিক মন্ত্রী কর্মিসভায় উপস্থিত থাকতে পারেন। তৃণমূল সূত্রে খবর, নন্দীগ্রামের কর্মিসভায় ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। 

আরও পড়ুন :


ছাড় লোকালে, করোনা রুখতে কড়াকড়ি বাড়িয়ে ছাড় এই সময়গুলোকে, দেখে নিন নিয়মবদল


তৃণমূল নেতা সেখ সুফিয়ানের মন্তব্য  , ' শুভেন্দু অধিকারী হ্যাঙ্গিং এমএলএ। গণনায় কারচুপি করে বিধায়ক হয়েছেন। কোর্টে বিষয়টি বিচারাধীন রয়েছে। উনি ধর্মের সুড়সুড়ি দিচ্ছেন, নন্দীগ্রামে বিভাজনের রাজনীতি করছেন,।'


অন্যদিকে নন্দীগ্রামের বিজেপি নেতা প্রলয় পালের দাবি,  বিজেপিকে ভয় পেয়ে তৃণমূল কংগ্রেস এই ধরনের কর্মসূচি নিচ্ছে। এতে কিছু লাভ হবে না। 


তৃণমূল সূত্রে খবর, ১০ নভেম্বর নন্দীগ্রামের কর পল্লিতেও প্রতিবাদ সভা করবে দল।  ২০০৭ সালের ১০ই নভেম্বর নন্দীগ্রাম পুনর্দখলের প্রতিবাদে করা হবে ওই সভা।  

গত ২৩ অক্টোবর, হিন্দু জাগরণ মঞ্চের ব্যানারে মিছিলে হাঁটেন নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক ও রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী-সহ বিজেপির নেতা-কর্মীরা । মিছিলের অনুমতি দেয়নি পুলিশ। যা নিয়ে তুঙ্গে ওঠে তৃণমূল ও বিজেপির রাজনৈতিক তরজা।কোভিডকালে মিছিলের অনুমতি দেওয়া হয়নি, এই জানিয়ে শুক্রবারই বিজেপির বেশ কয়েকজন নেতাকে চিঠি দেয় পুলিশ।  তারপরও, নন্দীগ্রামের হরিপুর থেকে টেঙ্গুয়া মোড় পর্যন্ত প্রায় দু’কিলোমিটার মিছিল করা হয়! মিছিল শেষে টেঙ্গুয়া মোড়ে করা হয় একটি পথসভাও। শুভেন্দু বলেন, এটা বিজেপির কোনও অনুষ্ঠান নয়, হিন্দু জাগরণ মঞ্চের...পুলিশ ভয় পেয়ে এসব করেছে।