কলকাতা: আচমকা অতি সঙ্কটজনক অবস্থা নারায়ণ দেবনাথের (Narayan Debnath Health Update)। সকালে আচমকাই শারীরিক অবস্থার অবনতি হয় প্রবীণ লেখক-শিল্পীর। রক্তচাপ প্রবলভাবে ওঠা-নামা করছে তাঁর। শ্বাস নিতেও কষ্ট হচ্ছে। চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন না প্রবীণ কার্টুনিস্ট। তাঁর বাড়ির লোকজনদের খবর দেওয়া হয়েছে বলে খবর হাসপাতাল সূত্রে।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, শিল্পীর বয়স হয়েছে। বার্ধক্যজনিত থেরাপিও চলছিল তাঁর। সোমবার সন্ধেয় শারীরিক অবস্থার সামান্য উন্নতি হয় নারায়ণবাবুর। পরিবার এবং চিকিৎসকদের ডাকে সাড়াও দিচ্ছিলেন। কিন্তু মঙ্গলবার সকালে আচমকাই তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। এখনও ভেন্টিলেশনেই রয়েছেন তিনি। সেখান থেকে তাঁকে ফিরিয়ে আনাটা চ্যালেঞ্জ বলে মনে করছেন চিকিৎসকেরা। মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হচ্ছে হাসপাতালের তরফে। সেখানেই পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক হবে।
প্রবীণ শিল্পীকে সারা ক্ষণ পর্যবেক্ষমে রেখেছেন চিকিৎসকেরা। হাসপাতালে নারায়ণবাবুর চিকিৎসক সমরজিৎ নস্কর এবিপি আনন্দকে ফোনে বলেন, ‘‘সকালে আচমকাই শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। ভেন্টেলেশনেই রাখা হয়েছে। কাল বেশ ভাল ছিলেন। সব চিকিৎসাই চলছে। তা সত্ত্বেও ওঠানামা করছে রক্তচাপ। সঙ্কটজনক অবস্থায় রয়েছেন শিল্পী। আমরা সবরকমের সাপোর্ট দিচ্ছি। বাড়ির লোজনকে জানানো হয়েছে। অবস্থা বেশ সঙ্কটজনক।’’
নারায়ণবাবুর মধ্যে সেপ্টিসেমিয়ার লক্ষণও দেখা যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক সমরজিৎ নস্কর। শরীরের কোনও অঙ্গের ব্যাকটিরিয়াঘটিত সংক্রমণ যখন সংক্রমণের আকার ধারণ করলে, সেখান থেকে সংক্রমণ যখন রক্তে প্রবেশ করে, তাকে বলে সেপ্টিসেমিয়া। এর প্রভাবে শরীরে ক্রিয়া-বিক্রিয়া শুরু হয়। তাতে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে শরীরে অন্যান্য অঙ্গ। তা থেকে একাধিক অঙ্গ অকেজো হয়ে মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে।
বার্ধক্যজনিত অসুস্থতার জেরে গত ২৪ ডিসেম্বর হাসপাতালে ভর্তি হন নারায়ণবাবু। হাসপাতালের আইসিইউ বিভাগে ভর্তি করা হয় তাঁকে। মন্ত্রী অরূপ রায় এবং স্বরাষ্ট্রসচিব বিপি গোপালিকা গত বৃহস্পতিবার তাঁকে দেখতেও যান হাসপাতালে। সেখানে অরূপের কাছ থেকে নারায়ণবাবুর স্বাস্থ্যের খোঁজ নেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও (Mamata Banerjee)।