কলকাতা: 'কিশোর বৈজ্ঞানিক প্রোৎসাহন যোজনা'-য় (KVPY) জয়জয়কার নারায়ণা স্কুলের (Narayana School) পড়ুয়াদের। সব মিলিয়ে তাদের মোট ১৭৯ জন পড়ুয়া সাফল্য পেয়েছে। তালিকায় রয়েছে এ রাজ্যে নারায়ণা স্কুলের বিভিন্ন ব্রাঞ্চে পাঠরত ১৭ জন। সকলেরই স্থান হাজারের মধ্যে।
সাফল্যের ধারা এগিয়ে নিয়ে যেতে...
সফল পড়ুয়ারা যাতে বিজ্ঞানচর্চা নিয়ে আরও উৎসাহিত হন, সে জন্য পুরস্কার (award) ও বৃত্তির (Scholarship) ব্যবস্থা করেছে নারায়ণা স্কুল। কী রকম? 'কিশোর বৈজ্ঞানিক প্রোৎসাহন যোজনা'(kishor Vaigyanik Protsahan Yojana) বা কেভিপিওয়াই-এর পরীক্ষায় মারকাটারি ফলাফল করেছে এমন পড়ুয়াদের জন্য মোট সাড়ে তিন লক্ষ টাকা নগদ পুরস্কার ঘোষণা করেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। বাংলায় তাদের স্কুল থেকে সফল ১৭ পড়ুয়াকে এর মধ্যেই সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে ওই পড়ুয়াদের লেখাপড়ার খরচের ব্য়াপারটিও মাথায় রেখেছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। ২৬ জুনের অনুষ্ঠানে তাদের স্কলারশিপও দেওয়া হয়েছে।
এই দুরন্ত সাফল্য তাদের 'ভিশন'-র সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ, মনে করেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। গত ৪৩ বছর ধরে এই ভাবেই প্রতিভা গড়ার কাজে সামিল তারা। ফলও মিলেছে। গত কয়েক বছর ধরেই ইঞ্জিনিয়ারিং ও মেডিক্যাল লেখাপড়ায় গোটা দেশে নারায়ণা স্কুলের বহু পড়ুয়া সাফল্য অর্জন করেছে। অন্তত পরিসংখ্যান সেরকমই বলছে, জানালেন কর্তৃপক্ষ।
পাখির চোখ প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা...
তবে কিশোর বৈজ্ঞানিক প্রোৎসাহন যোজনা-র সাম্প্রতিক সাফল্য়ে থমকে যেতে নারাজ স্কুল। ভবিষ্যতেও সব ধরনের প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় যাতে তাদের ছাত্রছাত্রীদের এরকমই পারফরম্য়ান্স থাকে, সে দিকেও লক্ষ্য থাকবে, জানাচ্ছে স্কুল। এবং সাফল্য যে আসবেই সে ব্য়াপারেও নিশ্চিত সকলে।
কারণ মূলত ত্রিমুখী। এক, সিলেবাস যা বিশেষজ্ঞদের অভিজ্ঞ দৃষ্টিভঙ্গি থেকে তৈরি। দুই, পড়়ুয়ারা কতটুকু শিখতে পারছে তা বোঝার জন্য লাগাতার মূল্য়ায়ন। এবং যে সব জায়গায় দুর্বলতা থাকছে সেগুলো দূর করতে তৎপরতা। তিন রকম কৌশলেই কিস্তিমাত হবে, বিশ্বাসী নারায়ণা।
আরও পড়ুন:করোনা-হানায় বাতিল কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের পরীক্ষা
Education Loan Information:
Calculate Education Loan EMI