পার্থ প্রতিম ঘোষ, কলকাতা: ক্যুরিয়ার সংস্থার মাধ্যমে মাদক পাচার রুখতে কড়া পদক্ষেপ নিল নারকোটিক্স কন্টোল ব্যুরো (Narcotics Control Bureau)। বিভিন্ন ক্যুরিয়ার সংস্থাকে বাড়তি সতর্কতা নিতে বলল NCB. এসওপিতে বলা হয়েছে, যাঁরা ক্যুরিয়ার করতে আসবেন এবং যাঁদের তা পাঠানো হবে, দু'জনেরই সঠিক পরিচয় নথিভুক্ত করতে হবে।


মাদক পাচার রুখতে কড়া পদক্ষেপ: সম্প্রতি সল্টলেকে পশুপালনের আড়ালে মাদকের কারবার চালানোরও অভিযোগ উঠেছে। ওড়িশা থেকে ওষুধের ব্যাগে পাচার করা হচ্ছিল ১২৮ কেজি গাঁজা। মঙ্গলবার গভীর রাতে কালিকাপুর থেকে তা উদ্ধার করেছে সার্ভে পার্ক থানার পুলিশ। শুক্রবার কলকাতা বিমানবন্দর সংলগ্ন এলাকা থেকেও সম্প্রতি ১৪৪ কেজি মাদক উদ্ধার হয়েছে।


প্রায়ই কলকাতা সহ রাজ্যের বিভিন্ন এলাকা থেকে উদ্ধার হচ্ছে মাদক। ক্রমশ জাঁকিয়ে বসছে মাদক-চক্র। বিভিন্ন সময়ে শহরে রেভ পার্টিতে অভিযান চালিয়েও মাদকের হদিশ মিলেছে। কিন্তু, মাদক সেই পার্টিতে পৌঁছচ্ছে কীভাবে? নারকোটিক্স কন্টোল ব্যুরোর দাবি, অনেক সময় মাদক পাচারের জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে বিভিন্ন ক্যুরিয়ার সংস্থাকে।

এই প্রেক্ষাপটে এবার মাদক পাচারের রমরমা আটকাতে ক্যুরিয়ার সংস্থাগুলিকে এসওপি পাঠাল NCB। ইতিমধ্যেই ক্যুরিয়ার সংস্থাগুলির বৈঠক সেরেছে এই কেন্দ্রীয় সংস্থা। NCB'র এসওপিতে বলা হয়েছে, যাঁরা ক্যুরিয়ার পাঠাতে আসবেন, তাঁদের সঠিক পরিচয়পত্র দেখানো বাধ্যতামূলক।যাঁকে পাঠানো হবে, তাঁকে পা্র্সেল দেওয়ার আগে নিতে হবে ওটিপি।স্কান্যারের মাধ্যমেও পার্সেলগুলিকে পরীক্ষা করতে বলা হয়েছে। মাঝেমধ্যেই অসময়ে কেউ ক্যুরিয়ার পাঠাতে এলে, তাঁর ওপর নজর রাখতে হবে। এদিন মাদক কারবারিদের উদ্দেশে কড়া বার্তাও দেওয়া হয়েছে NCB'র তরফে।                                                         


এদিন নারকোটিক্স কন্টোল ব্যুরো জোনাল ডিরেক্টর (কলকাতা) রাকেশচন্দ্র শুক্লা বলেন, “২০১৪ সালে দমদমে বিশ্বনাথ দেবনাথের বাড়ি থেকে ৩৬২ কেজি আফিম উদ্ধার হয়। ২৩ তারিখ ব্যারাকপুর আদালতে তাঁকে ১২ বছরের সাজা দিয়েছে। অর্থাৎ পাচারে যুক্ত থাকলে রেহাই মিলবে না।’’ NCB'র তরফে জানানো হয়েছে, পুরোদমে রাজ্য ও জেলা প্রশাসনের সঙ্গে মাদক বিরোধী অভিযান চালানো হচ্ছে।


আরও পড়ুন: WB Corona: শহরে ফের করোনা আক্রান্তের মৃত্যু, দুই হাসপাতালের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন মৃতের পরিবারের