ঝিলম করঞ্জাই, কলকাতা: কলকাতায় ফের করোনা (Corona) আক্রান্তের মৃত্যু। পরিবারের অভিযোগ, করোনা পজিটিভ হওয়ার পরে, রোগীকে অন্যত্র স্থানান্তরের জন্য চাপ দেয় সল্টলেক আমরি কর্তৃপক্ষ। যদিও, সল্টলেক আমরি কর্তৃপক্ষের দাবি, আইসোলেশন বেড অপ্রতুল। সংক্রমণ যাতে না ছড়ায় সেজন্য রোগীকে বেলেঘাটা আইডি-তে স্থানান্তরের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছিল।
ফের করোনা আক্রান্তের মৃত্যু: দেশজুড়ে ফের চোখ রাঙাতে শুরু করেছে করোনা। গত ১৪৬ দিন পরে, দৈনিক দেড় হাজারের বেশি সংক্রমণ ধরা পড়েছে গোটা দেশে। এই নিয়ে সাধারণ মানুষের উদ্বেগ যখন বাড়ছে, তখন, কলকাতায় এক করোনা আক্রান্তের মৃত্যুর ঘটনায়, সল্টলেক আমরি এবং বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলল মৃতের পরিবার। গোবিন্দ কুণ্ডু নামে ৭২ বছরের ওই রোগী শনিবার সকাল ৭টা ২৭ মিনিটে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে মারা যান। মৃত্যুর কারণ - করোনা সংক্রমণ।
মৃতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গোবিন্দ কুণ্ডু নদিয়ার কৃষ্ণনগরের বাসিন্দা। শ্বাসকষ্টের সমস্যার জন্য ২ সপ্তাহ ধরে ভর্তি ছিলেন সল্টলেকের আমরি হাসপাতালে। পরিবারের দাবি, প্রথম দফায় সুস্থ হওয়ার পরে গোবিন্দ কুণ্ডুকে বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু, পরে ফের তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। বৃহস্পতিবার ফের গোবিন্দ কুণ্ডুকে ভর্তি করা হয় সল্টলেক আমরিতে। পরিবারের দাবি, পরদিন তাঁর করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ আসে। অভিযোগ, এরপর থেকেই রোগীকে অন্যত্র স্থানান্তরের জন্য চাপ দিতে শুরু করে সল্টলেক আমরি কর্তৃপক্ষ।
এবিষয়ে, আমরি হাসপাতালের গ্রুপ সিইও রূপক বড়ুয়ার প্রতিক্রিয়া,বৃহস্পতিবার, নদিয়ার কল্যাণীর বাসিন্দা, ৭২ বছরের এক রোগীকে সল্টলেক আমরি-তে ভর্তি করা হয়। পরদিন তাঁর করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ আসে। যেহেতু এই হাসপাতালে অ্যাডিনো ভাইরাস, ইনফ্লুয়েঞ্জা এবং ভাইরাসঘটিত রোগীদের ভিড় রয়েছে, তাই আইসোলেশন বেড অপ্রতুল। সেক্ষেত্রে আমরা রোগীকে বেলেঘাটা আইডি-তে পাঠানোর বন্দোবস্ত করে দিই। ভাইরাসঘটিত অন্য রোগে আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে যাতে এই সংক্রমণ না ছড়ায়, সে কথা মাথায় রেখেই এই পদক্ষেপ করা হয়েছে। শনিবার সকালে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে মৃত্যু হয় গোবিন্দ কুণ্ডুর। এই বিষয়ে বেলেঘাটা আইডি কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, অত্যন্ত সঙ্কটজনক অবস্থায় ভর্তি করা হয়েছিল রোগীকে। তিনি কোমর্বিডিটিতেও ভুগছিলেন। ICU-তে বাইপ্যাপ সাপোর্টে রাখা হয়েছিল তাঁকে।