নয়াদিল্লি : সংসদে যুযুধান দুই পক্ষ। কিন্তু সংবিধান দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার সেই সংসদভবনেই এক সৌজন্যের মুহূর্তে ধরা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
২২ অক্টোবর ওয়াকফ বিল নিয়ে যৌথ সংসদীয় কমিটির বৈঠকে ধুন্ধুমার বেঁধে যায় । বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে তুমুল বিবাদে জড়িয়ে পড়েন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। বাদানুবাদ এমন জায়গায় যায় যে, মেজাজ ধরে রাখতে পারেনি তৃণমূলের আইনজীবী সাংসদ। বৈঠক চলাকালীন সামনে রাখা বোতল ভেঙে ছোড়ার অভিযোগ ওঠে কল্যাণের বিরুদ্ধে। সেই বোতলেরই ভাঙা টুকরো ছিটকে এসে লাগে তাঁর হাতে। তারপর রক্ত বেরোতে শুরু করে। তারপর বেশ কয়েকদিন আঙুলে ব্যান্ডেজ বেঁধে ঘুরতে হয়েছিল কল্যাণকে।
সংবিধান দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে সংসদে প্রবেশ করছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সেই সময় মুখোমুখ হন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে। প্রথমে সৌজন্যের হাসি, তারপর কল্যাণের দিকে এগিয়ে মোদি জিগ্যেস করেন,অঙ্গুঠা ক্যায়সা হ্যায়? মানে, আপনার আঙুল কেমন আছে ?
কল্যাণও সৌজন্য দেখিয়ে জবাব দেন, এখন একদম ঠিক আছে। আপনি কেমন আছেন? প্রধানমন্ত্রীও উত্তর দেন। রাজনৈতিক ভাবে বিপরীত মেরুর দুই মানুষের মধ্যে এই সৌজন্য বিনিময় অনেকেরই নজর কাড়ে।
রাজনীতির ঊর্ধ্বে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর এই সৌজন্যে খুশি তৃণমূল সাংসদও। সংসদে এনডিএ সরকারকে অল আউট অ্যাটাক করছে বিরোধীরা। আর বিরোধীদের মধ্যে অন্যতম তৃণমূল। সারা বছরই কেন্দ্র-রাজ্য সম্পর্ক নিয়ে একাধিক ইস্যুতে কেন্দ্রীয় সরকার ও বিজেপিকে লাগাতার আক্রমণ করতে শোনা যায় কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এ হেন মানুষটিও প্রধানমন্ত্রীর সৌজন্যে খুশি। বললেন, 'এটাই তো শিষ্টাচার, সৌজন্য। একজন প্রধানমন্ত্রী জিগ্যেস করছেন, আঙুল কেমন আছে। নিঃসন্দেহে ভাল লাগে। মন ছুঁয়ে যায়। এতদিন পরও ওঁর মনে আছে। জিগ্যেস করেছেন । স্পর্শ করে। দল যাই হোক না কেন, শাসক বিরোধী যাই হোক না কেন, একজন এম পি আমি, উনি যে আমার খোঁজ নিয়েছেন, এটা আমার কাছে বড় ব্যাপার মনে হয়েছে। রাজনৈতিক সৌজন্যতার থেকে তো বড় ব্যাপার কিছু হতে পারে না। ভারতবর্ষের প্রধানমন্ত্রী , সেটা তো মানতে হবে। ওঁর নিজস্বগুণে উনি প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। খবর নিয়েছেন, আমি খুশি বলতে পারেন। '
আরও পড়ুন :