তাহেরপুরের মানুষের স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে। এত দূর দূর থেকে এসেও চাক্ষুষ করা হল না দেশের প্রধানমন্ত্রীকে। কুয়াশার কারণে মদিয়া তাহেরপুর নামতে না পেরে কলকাতায় ফেরে নরেন্দ্র মোদির কপ্টার। নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে কলকাতা থেকেই বিপুর সংখ্যক অপেক্ষমান মানুষকে  অডিও বার্তা দেন নরেন্দ্র মোদি। 

Continues below advertisement

সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে মোদি প্রায় আগাগোড়াই আক্রমণ শানান তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে। তিনি বলেন, 'পশ্চিমবঙ্গে যে মহাজঙ্গলরাজ চলছে, তা থেকে আমাদের মুক্তি পেতে হবে। এ-রাজ্যের মানুষ বলছেন, বাঁচতে চাই, বিজেপি তাই।' তিনি প্রতিশ্রুতি দেন, 'পশ্চিমবঙ্গের প্রগতির জন্য বিজেপি পুরোদমে কাজ করব। এ-রাজ্যের জন্য ইচ্ছে বা টাকা কোনওটারই অভাবই নেই। কিন্তু, কাটমানি, কমিশনের গেরোয় সেই প্রকল্প আটকে যাচ্ছে'

তৃণমূলকে উন্নয়ন বিরোধী সরকার বলে আক্রমণ শানান তিনি। বলেন, 'তৃণমূল মোদির বিরোধিতা করবে, ১০০ বার তা করুক। কিন্তু, পশ্চিমবঙ্গের উন্নয়নকে তারা কেন আটকে রাখছে? এ-রাজ্যের সাধারণ মানুষের স্বপ্নভঙ্গ করার কাজ যেন তারা না করে।'তিনি পশ্চিমবঙ্গের মানুষের বারবার একবার সুযোগের প্রার্থনা করেন। 

Continues below advertisement

এরপর আসআইআর (SIR) প্রসঙ্গে টেনেও তৃণমূলকে আক্রমণ করেন তিনি। বলেন, 'অনুপ্রবেশকারী গো ব্যাক বলুন। অনুপ্রবেশকারীদের মদত দেওয়ার জন্যেই SIR-এর বিরোধিতা করছে তৃণমূল। ' ত্রিপুরার উদারহরণ টেনে বলেন, সে রাজ্যে বামেরা ৩০ বছর ধরে ত্রিপুরাকে বরবাদ করেছিল। ত্রিপুরার মানুষ বিজেপিকে সুযোগ দিয়েছে। ত্রিপুরায় বিজেপি উন্নয়নের কাজ করেছে। মোদি বলেন,'ত্রিপুরা দ্রুগতিতে এগিয়ে চলেছে, পিছিয়ে চলেছে বাংলা'। তাহেরপুরের সভাস্থলের উদ্দেশে অডিওবার্তায় বলেন প্রধানমন্ত্রী। 

কুণালের পাল্টা 

নরেন্দ্র মোদির বক্তব্যের পরই  প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যকে ' দিশাহীন, দায়িত্বজ্ঞানহীন ...হতাশাজনক'বলে ব্যাখ্যা করেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, 'SIR-এর কারণে মতুয়া-সহ যাঁরা বিপদে পড়েছেন তাঁদের জন্য তাঁর বার্তা হতাশাজনক। তিনি চাইলেন ওই মানুষগুলির জন্য বার্তা দিতে পারতেন। কিন্তু, তিনি তা করেননি। প্রধানমন্ত্রী খালি হাতে এসেছেন। আজ মূল সমস্যা এড়িয়ে গিয়েছেন।' তাহেরপুরে সভায় সমর্থকদের তুলকালামের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, 'সভা এমনকিছু বড় হয়নি । কিন্তু, সরু জায়গায় বেশি লোক ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিশৃঙ্খলা সামাল দিতে একজন নেতাও এগিয়ে আসেননি'। 

এখন প্রশ্ন হল, প্রধানমন্ত্রীর অডিও বার্তা থেকে কি কোনও আস্থা পেলেন মতুয়ারা? পেলেন কি ভোটাধিকার সংক্রান্ত প্রশ্নর সমাধান?