রঞ্জিত হালদার, নরেন্দ্রপুর (দক্ষিণ ২৪ পরগণা): ফের শহরতলীতে অমানবিক ঘটনা। স্ত্রীকে নৃশংসভাবে খুন করার অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধেই। স্ত্রীকে খুন করার পর নিজেও আত্মহত্যার চেষ্টা করেন অভিযুক্ত ব্যক্তি, এমনটাই জানা গিয়েছে। সন্তানের সঙ্গে স্ত্রীর সম্পর্ক রয়েছে, এই সন্দেহে স্ত্রীকে নৃশংসভাবে খুন করল স্বামী। 


ঘটনাটি ঘটেছে নরেন্দ্রপুর থানা এলাকার নতুন দিয়াড়ায়। জানা গিয়েছে, মৃতার নাম অনিমা মন্ডল। ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া গিয়েছে কাটারি, দুটো ছুরি ও একাধিক ব্লেড। পুলিশের অনুমান, এই অস্ত্র ব্যবহার করেই স্ত্রীকে নৃশংসভাবে খুন করেছেন স্বামী প্রসুন্ন মন্ডল। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, স্ত্রী অণিমাকে অন্য কোনও পুরুষের সঙ্গে কথা বলতে দেখলেই  বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক নিয়ে স্ত্রীকে সন্দেহ করতেন প্রসুন্ন। স্থানীয়রা জানায়, সন্দেহের বশে স্ত্রী অনিমাকে প্রায়শই মারধর করতেন। এক সপ্তাহ আগে বাড়ি ছেড়ে চলে যান অনিমা দেবী। ফের তিনি নিজেই ফিরে আসেন দিন দুয়েক আগে। 


রবিবার রাতে ওই বাড়ি থেকেই চিৎকার শোনেন স্থানীয়রা।  ছুটে গিয়েই দেখেন নৃশংস দৃশ্য। এক যুবক রাতে এই ঘটনা টের পেয়ে পাড়া প্রতিবেশিদের জানান। এদিকে, স্ত্রীকে খুন করার পর প্রসুন্ন নিজেও আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করেন। খুনের অস্ত্র দিয়েই আত্মহত্যার চেষ্টা করেন তিনি। দরজা ভেঙে উদ্ধার করা হয় তাঁদের। 


এরপর স্থানীয়রাই খবর দেয় নরেন্দ্রপুর থানায়। ভোররাতে পুলিশ পৌঁছে দুজনকেই উদ্ধার করে সোনারপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে মৃত বলে ঘোষণা করা হয় অনিমা দেবীকে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁর স্বামীকে এনআরএস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। একই অস্ত্র দিয়ে খুন ও আত্মহত্যার চেষ্টা বলে প্রাথমিকভাবে মনে করছে পুলিশ। কী কারণে এই ঘটনা ঘটল তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।


সম্প্রতি বহির্ভূত সম্পর্কের জেরে স্ত্রীকে ‘খুন করে’ পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করে এক স্বামী। বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের সন্দেহে ওই ব্যক্তি স্ত্রীকে খুন করে। এর পর চিত্‍পুর থানায় গিয়ে নিজেই আত্মসমর্পণ করে অভিযুক্ত স্বামীর। শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।ঘটনাস্থল থেকে বিভিন্ন নমুনা সংগ্রহ করেন তদন্তকারীরা। মুনমুনের পরিবারের লোকজনদের দাবি, বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক নিয়ে মুনমুনের স্বামী সন্দেহ করত। কারও সঙ্গে কথা বললেই সন্দেহ করত অভিযুক্ত। সেই সন্দেহেই খুন, নাকি অন্য কোনও কারণে খুন, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।