কলকাতা: বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর নির্দেশের পরেও কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি, জানাল রাজ্য। বারুইপুর পুলিশ জেলার সুপারের রিপোর্ট তলব দুপুর ২। ভার্চুয়ালি হাজির থাকবেন বারুইপুর পুলিশ জেলার সুপার, জানাল রাজ্য। হাজির থাকতে হবে নরেন্দ্রপুর থানার আইসি-কে, জানাল আদালত (Calcutta High Court)। এই সব পঞ্চায়েত সদস্য এবং রাজনৈতিক ব্যক্তিকে অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে, মন্তব্য বিচারপতির (Justice Basu)।


'গতকালের নির্দেশের পর থেকে ৩-৪ জায়গায় তল্লাশি চালানো হয়েছে', কাউকে পাওয়া যায়নি, কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি, জানালেন সরকারি আইনজীবী। পঞ্চায়েত সদস্যকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি ! এটা কীভাবে সম্ভব ?  প্রশ্ন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর। সুপারকে বলুন অবিলম্বে বিষয়টি দেখতে,  তাঁকে তো ব্যক্তিগতভাবে এটা দেখতে বলেছিলাম, মন্তব্য বিচারপতির। স্কুল শিক্ষা দফতরের সহ-অধিকর্তাদের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। দুই সহ-অধিকর্তা তপন কুমার সিন্হা ও অনিন্দ্য কুমার চট্টোপাধ্যায়ের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ বিচারপতি।


আদালতের নির্দেশে 'স্কুলের দুর্নীতির অভিযোগের সত্যতা খতিয়ে দেখতে আপনারা গিয়ে কী করলেন। জেলা স্কুল পরিদর্শকের দুটি রিপোর্টে স্পষ্ট করে আর্থিক দুর্নীতির কথা জানানো হয়েছিল, সেই রিপোর্ট আপনারা ছুড়ে ফেলে দিলেন? প্রশ্ন বিচারপতির। শিক্ষা দফতরের কমিশনারকে যে অভিযোগ স্কুলের শিক্ষকরা জানিয়েছিল সেগুলো খতিয়ে দেখলেন না আপনারা ?  সহ - অধিকর্তারা কি পঞ্চায়েত সদস্যদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছিলেন ? প্রশ্ন বিচারপতির। 


স্কুলে ঢুকে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বেধড়ক মারধর বহিরাগতদের। স্কুলের ভিতরে ভাঙচুর চালানোরও অভিযোগ। শনিবার নরেন্দ্রপুরের স্কুলে এই ঘটনা ঘটেছে। অভিযোগ,  কয়েকজন শিক্ষক-শিক্ষিকার মোবাইল ফোন ভেঙে দেওয়া হয়েছে। পড়ুয়াদের উপরও হামলা হয়েছে বলে অভিযোগ। প্রধান শিক্ষকের মদতে এই মারধরের ঘটনাবলে অভিযোগ আক্রান্ত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের। স্কুলের প্রধান শিক্ষক যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। হামলার জেরে স্কুলের ভিতর বেশ কিছু ক্ষণ আটকে ছিলেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা। এরপরেই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় নরেন্দ্রপুর থানার বিরাট পুলিশ বাহিনী। 


আরও পড়ুন, লোকসভায় '৪২ এ ৪২..', হাওড়ায় তৃণমূলের দেওয়াল লিখন ঘিরে তুমুল চাঞ্চল্য 


জানা যায়, শনিবার সকালে নরেন্দ্রপুরের ওই স্কুলে প্রথম ক্লাস চলছিল। সেই সময় টিচার্স রুমে ১৮-২০ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা ছিলেন। আচমকা সেখানে ২০-২৫ রুদ্রমূর্তি লোকজন ঢুকে পড়েন। কোনও রকম কথায় না গিয়ে শিক্ষক এবং শিক্ষিকাদের মারধর শুরু করেন তাঁরা। হামলার ছবি তুলতে গেলে তিন-চার জন শিক্ষক-শিক্ষিকার মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে ভেঙেও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। মারধর থেকে শিক্ষিকারাও রেহাই পাননি বলে দাবি সামনে এসেছে। আক্রান্ত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের একাংশের অভিযোগ, প্রধান শিক্ষকের মদতেই বহিরাগতরা ঢুকে হামলা চালিয়েছেন।