সুনীত হালদার, হাওড়া: নির্বাচন কমিশন (EC) এখনও পর্যন্ত লোকসভা নির্বাচনের 9Lok Sabha Election 2024) নির্ঘণ্ট প্রকাশ করেনি। এখনও 'I.N.D.I.A' জোটে তৃণমূল কংগ্রেসের কথাবার্তা চলছে। এরই মধ্যে '৪২ এ ৪২' এই ঘোষণা করে দেওয়াল লিখন শুরু হাওড়ায়। আর এই নিয়েই দেখা দিয়েছে রাজনৈতিক বিতর্ক।
হাওড়া পুরসভার ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের বিবেকানন্দ রোডে দিন কয়েক ধরে চলছে দেওয়াল লিখনের কাজ। বড় বড় সাদা দেওয়ালে তৃণমূল কর্মীরা '৪২ এ ৪২' এই স্লোগান সামনে রেখে দেওয়াল লিখনের কাজ শুরু করেছেন। একাধিক দেওয়ালে ঘাসফুল চিহ্নে ভরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এদিকে এখনও পর্যন্ত ভারতীয় নির্বাচন কমিশন লোকসভা ভোটের দিন ঘোষণা করেনি। তৃণমূল কংগ্রেসের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় 'I.N.D.I.A' জোট থেকে পুরোপুরি বেরিয়ে যাবেন কি না সে ব্যাপারে এখনও কিছু ঘোষণা করেননি। এদিকে পশ্চিমবঙ্গের সব আসনে তৃণমূলের লড়াইয়ের বার্তা দিয়ে চলছে দেওয়াল লিখন।
সম্প্রতি নেত্রী জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস 'একলা চলো' নীতিতে চলবে। সে ক্ষেত্রে কংগ্রেস বা অন্য দলকে কোন আসন ছাড়া হবে না। এই বার্তা পেয়েই তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের একাংশ দেওয়াল লিখনের কাজ শুরু করেছেন। হাওড়া পুরসভার ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর এবং বোড়ো চেয়ারম্যান বিশ্বনাথ দাস জানিয়েছেন এখানে তৃণমূল কংগ্রেস একাই লড়াই করবে। তাই নেত্রীর এই বার্তা পেয়ে '৪২ এ ৪২' এই স্লোগান দেওয়ালে লেখা হয়েছে। তৃণমূল কর্মীরা সব আসনে লড়াই করতে প্রস্তুত। উন্নয়নকে হাতিয়ার করে এই লড়াই হবে।
এদিকে হাওড়া সদরের তৃণমূল সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় বিশ্বনাথ দাসের এই কাজকে সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, যেভাবে দেওয়ালে লেখা হচ্ছে সেটা তার ব্যক্তিগত মত। এটা দলের কোন মত নয়। সর্বভারতীয় জোট অনেক বড় ব্যাপার। সেখানে তৃণমূল কংগ্রেস থাকবে কি থাকবে না এটা ঠিক করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এ ব্যাপারে অন্যদের কিছু বলার নেই। উনি এসব কাজ না করলেই ভাল করতেন।
আরও পড়ুন, এক সপ্তাহে CAA চালু? কী বললেন মমতা ?
তৃণমূল দলের মধ্যে এই কাজিয়া নিয়ে কটাক্ষ করেছে বিজেপি। বিজেপির হাওড়া সদরের সম্পাদক ওমপ্রকাশ সিংহ বলেন,' জোট বলে কিছু নেই। ২০২৪ এ মানুষের জোটে ভোট হবে। রাম মন্দির উদ্বোধনের পর হিন্দুদের আবেগ যে জায়গায় পৌঁছেছে তাতে ওরা ভয় পেয়েছে। তাই ভোট ঘোষণা না হলেও দেওয়াল দখলের জন্য দেওয়াল লিখন শুরু করেছে। তৃণমূল মানেই চুরি আর দখলদারির রাজনীতি।'