কলকাতা: উত্তরে সন্তুষ্ট হয়নি জাতীয় শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশন (National Commission for Protection of Child Rights)। যাদবপুরকাণ্ডে (Jadavpur University) চাপ বাড়িয়ে এবার চিঠি দিল জাতীয় শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশন। রিপোর্ট চেয়ে যাদবপুরের রেজিস্ট্রার, রাজ্য পুলিশের ডিজিকে ফের চিঠি দিল কমিশন। ভয়াবহ অত্যাচারে নাবালক ছাত্রের মৃত্যু, তদন্ত করে ৭ দিনে রিপোর্ট তলব করা হয়েছে। ছাত্রমৃত্যুতে যাদবপুর কর্তৃপক্ষকে শোকজ নোটিসের উত্তরে অসন্তুষ্ট নয় রাজ্য শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশন (National Commission for Protection of Child Rights)।


উত্তরে হতাশ কমিশন: শোকজ নোটিসের উত্তর দিয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার। পূর্বের শোকজ নোটিসের উত্তরে হতাশ হয়ে কমিশনের দাবি, 'নিজেদের ব্যর্থতা না মেনে দায় এড়ানোর চেষ্টা করছে কর্তৃপক্ষ। ক্যাম্পাস থেকে র‍্যাগিং উৎখাত করতে পরিকাঠামোগত সংস্কারের কোনও রোড ম্যাপ নেই'। তাই আজ  ফের যাদবপুর কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিল রাজ্য শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশন। ইউজিসি গাইডলাইন ও সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) নির্দেশ কেন লঙ্ঘন করা হয়েছে, কেন যাদবপুর কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে না ?' এমনই একাধিক প্রশ্ন উঠেছে। 


রীতিমতো উষ্মা প্রকাশ: গত ১৩ অগাস্ট যাদবপুরে ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় তৎপরতা নেয় রাজ্য শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশন। এ দিন  বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন হস্টেলে ঘটনাস্থল ঘুরে দেখে রীতিমতো উষ্মা প্রকাশ করেন কমিশনের প্রতিনিধিরা। এর পর তাঁরা ক্যাম্পাসের মধ্যে নিউ বয়েজ হস্টেলেও যান। ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন রাজ্য শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশনের প্রতিনিধিরা। 


যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের পড়ুয়ার রহস্যমৃত্যু! কেন? কীভাবে? কী ঘটেছিল বুধবার রাতে? এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তরের খোঁজে যাদবপুরের হস্টেল পরিদর্শন করেন রাজ্য শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশনের প্রতিনিধিরা। মেন হস্টেলের বিভিন্ন ঘর পরিদর্শনের পরে তাঁরা কয়েকজনের সঙ্গে কথাও বলেন। বুধবার রাতে ঠিক কী ঘটেছিল সেখানে, তা জানাই ছিল উদ্দেশ্য। 


যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের পড়ুয়ার মৃত্যুর ঘটনায় শনিবারই আচার্য ও রাজ্যপালকে চিঠি দিয়ে রিপোর্ট চেয়ে পাঠায় রাজ্য শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশন। উপযুক্ত তদন্তের কথা বলে পুলিশ কমিশনারকেও চিঠি দেন তাঁরা। এ দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন হস্টেল পরিদর্শনের আগে যাদবপুর থানাতেও যান রাজ্য শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশনের প্রতিনিধিরা।  পুলিশ অফিসারদের কাছ থেকে তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে তাঁরা খোঁজখবর নেন। শোকজ নোটিস দেওয়া হয় কর্তৃপক্ষকেও। তবে সেই উত্তরে একেবারেই হতাশ হয়েছে কমিশন।


আরও পড়ুন: JU Student Death:'মাথা গামছা দিয়ে বাঁধা, মুখে আঘাত', যাদবপুরের পড়ুয়াকে যে অবস্থায় দেখেন হলুদ ট্যাক্সি চালক