আবীর দত্ত, কলকাতা: এগরা (Egra) বিস্ফোরণকাণ্ডে রাজ্যের (West Bengal) কাছে রিপোর্ট তলব জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের। ৪ সপ্তাহের মধ্যে রাজ্যের রিপোর্ট (Report) তলব। ডিজি, মুখ্যসচিবকে নোটিস জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের। পুলিশের (Police) বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা, জানতে চাইল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন।
অন্যদিকে, এগরা বিস্ফোরণকাণ্ডে নতুন ধারা যোগ করল সিআইডি (CID)। আদালতের অনুমতি নিয়ে তিনটি নতুন ধারা যোগ করা হয়েছে। আইপিসি ৩০২ (খুন), আইপিসি ৩০৭ (খুনের চেষ্টা) এবং দ্য এক্সপ্লোসিভ অ্যাক্ট ১৮৮৪-এর ৯বি ধারা যোগ। কিন্তু দেওয়া হল না এক্সপ্লোসিভ সাবস্টেন্সেস অ্যাক্ট ১৯০৮ -এর কোনও ধারা।
কেন এক্সপ্লোসিভ সাবস্টেন্সেস অ্যাক্ট ১৯০৮ -এর কোনও ধারা দেওয়া হল না, প্রশ্ন বিশেষজ্ঞ মহলে। এনআইএ-কে সুবিধা না দিতেই কি এক্সপ্লোসিভ সাবস্টেন্সেস অ্যাক্ট ১৯০৮ -এর কোনও ধারা দেওয়া হল না, প্রশ্ন বিশেষজ্ঞ মহলের।
এগরার খাদিকুল গ্রামে এখনও কান পাতলে শুনতে পাওয়া যায়, স্বজন হারাদের কান্না! গ্রামে আকাশে ঘনীভূত বিষাদের মেঘ। বাতাসে, এখনও পোড়া মৃতদেহের গন্ধ!!
গত মঙ্গলবার, কৃষ্ণপদ ওরফে ভানু বাগের বেআইনি বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এখানেই, প্রশ্ন উঠছে, কী করে এতদিন ধরে বেআইনি বাজি তৈরির কারবার চালাচ্ছিলেন ভানু?কিসের ভিত্তিতে এই বেআইনি কারবার চলছিল? এই চাপানউতোরের মধ্যে এবিপি আনন্দর হাতে এসেছে চাঞ্চল্যকর নথি।
এটা সাহাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ইস্যু করা একটি ট্রেড লাইসেন্স। ২০১৯ সালে, ৩০০ টাকা ফি নিয়ে, কৃষ্ণপদ ওরফে ভানু বাগকে। এখানে, লেখা রয়েছে 'মা সারদা আতস বাজি ভান্ডারের' নাম। স্থানীয়দের একাংশের অভিযোগ, মা সারদা আতস বাজি ভান্ডারে'র নামে বাজি বিক্রির দোকান আছে, এই দাবি করে, গ্রাম পঞ্চায়েতের থেকে এই ট্রেড লাইসেন্স বের করেন ভানু।
আর এই ট্রেড লাইসেন্স দেখিয়েই, বেআইনি বাজি কারবার চালাচ্ছিলেন তিনি।
২০১৯ সালে, যে সময় ভানু এই ট্রেড লাইসেন্স বের করেছিলেন, তখন সাহাড়া গ্রাম পঞ্চায়েত ছিল তৃণমূলের দখলে। কিন্তু, এগরা বিস্ফোরণকাণ্ডের পর, বিজেপির দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী।
এগরা বিস্ফোরণকাণ্ডের তদন্তে সোমবার খাদিকুল গ্রামে আসেন CID-র অফিসাররা। মৃতদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা। কত দিন ধরে ওই কারখানায় কাজ করছেন? কত টাকা মজুরি দেওয়া হত? কত ঘণ্টা কাজ করতে হত? এই সব বিষয়ে জানতে চান CID-র অফিসাররা। পুরোটাই ভিডিওগ্রাফি করে রাখা হয়।