আবির দত্ত এবং ঝিলম করঞ্জাই, কলকাতা: সামনে এল আরেক বিতর্ক।  মরচে ধরা কাঁচির পর এবার ভায়ালে নিয়ে শুরু হল বিতর্ক। ক্যালকাটা মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসার জন্য আসা ভায়ালে ওষুধের মধ্যে কিছু পদার্থ ভাসতে দেখা গেল। এই ওষুধ প্রয়োগ করলে রোগীর শরীরে ক্ষতি হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করলেন চিকিৎসকদের একাংশ।

  



এসএসকেএম মেডিক্যাল কলেজে অস্ত্রোপচারের সময়ে মরচে ধরা কাঁচি ভেঙে যাওয়ার পর এবার ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে ভায়ালের মধ্যে ভাসমান পদার্থকে ঘিরে তৈরি হয়েছে নতুন বিতর্ক। জুনিয়র ডাক্তারের কথায়, 'আগে হলে জানি না। এখন বলে রেখেছিলাম। এমএসভিপিকেও জানানো হবে। এটা হয়ত অনেক দিন ধরে চলে আসছে। শুধু বাংলা নয় সব জায়গাতেই হচ্ছে।



চিকিৎসকদের বক্তব্য, শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি হলে এই Calcium gluconate প্রয়োগ করা হয়। ব্যাচ নম্বর মিলিয়ে দেখা যায় ২০২২ সালের নভেম্বরে তৈরি হয়েছে এটি। এক্সপায়ারি ডেট ২০২৫-এর অক্টোবর। ক্যালকাটা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের জুনিয়র চিকিৎসকের একাংশের দাবি, একটি বক্সে 10 ML-এর ৫০টি ভায়াল থাকে। এর মধ্যে দুটি ভায়াল ভাঙা ছিল। বাকি ৪৮টির মধ্যে কিছু একটা ভাসতে দেখা যায়।


আরও পড়ুন, পঞ্চ উপাচারে মঙ্গলারতি, বিশেষ নিশি পুজো, তারাপীঠে সাড়ম্বরে তারা মায়ের পুজো


এ বিষয়ে ক্যালকাটা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ শুভ্র মিত্রকে ফোন করা হলে তিনি ফোন তোলেননি। জবাব দেননি মেসেজেরও।                                                                                                            


দুদিন আগেই SSKM মেডিক্যাল কলেজে প্রসূতির অস্ত্রোপচারের সময়, ভেঙে যায় মরচে ধরা কাঁচি। জুনিয়র চিকিৎসকের দাবি, মরচে ধরা কাঁচিটিও ছিল সিল করা প্যাকেটেই। মরচে লুকোতে কাঁচির ওপর রঙ করা হয়েছিল। এবার ওষুধের ভায়ালে পাওয়া গেল ভাসমান পদার্থ। যা নিয়ে তুমুল বিতর্ক শুরু হয়েছে। 


 


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে