কলকাতা: ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে সিভিক ভলান্টিয়ারের দাদাগিরি। রোগীর পরিজনদের ওপর লাঠিচার্জের অভিযোগ সিভিক ভলান্টিয়ারের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় রিপোর্ট তলব করল স্বাস্থ্য ভবন। শুধু তাই নয়, পুলিশ ও হাসপাতালের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ করল পরিবার।
বচসা, হাতাহাতি, সিভিক ভলান্টিয়ারের লাঠিচার্জ তুলকালাম কাণ্ড বেধে গেল ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ চত্বরে। বুকে ব্যথা নিয়ে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ আসেন পার্ক সার্কাসের বাসিন্দা শেহনাজ বেগম। পরিবারের অভিযোগ, অসুস্থ অবস্থায় দীর্ঘক্ষণ এমারজেন্সিতে বসিয়ে রাখা হয়।
৪৪ বছর বয়সি শেহনাজ বেগমকে কার্ডিওলজি বিভাগে পাঠানো হয় বলে দাবি পরিবারের। পরীক্ষা নিরিক্ষার পর তাঁর হৃদযন্ত্রে কোনও সমস্যা নেই বলে জানান চিকিৎসকরা। ফের তাঁকে ইমারজেন্সি বিভাগেই পাঠানো হয়। পরিবারের দাবি, সেখানে রোগীকে একটি ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়। তারপরেই শেহনাজ বেগমের হাতে অহস্য যন্ত্রণা শুরু হয়। পরিবারের অভিযোগ, রোগীর অবস্থার অবনতি নিয়ে নার্সকে প্রশ্ন করতেই শুরু হয় বচসা।
আরও পড়ুন, আচমকাই এই এলাকার সব বিরিয়ানির দোকান বন্ধ করল প্রশাসন! মাংসের মান নিয়ে উঠছে ভয়ঙ্কর অভিযোগ
এরপর কর্তব্যরত পুলিশ ও সিভিক ভলান্টিয়ারদের সঙ্গে হাতাহাতি বেধে যায় রোগীর পরিজনদের। একজন হোমগার্ড ও এক সিভিক ভলান্টিয়ার লাঠিচার্জ শুরু করে বলে অভিযোগ। এদিকে রোগীর অভিযোগ, 'চিকিৎসা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলতেই পুলিশ ডাকা হয়। আমাদের মারধর করা হয়। গুণ্ডার মতো মেরেছে। যেভাবে আমার সন্তান-স্বামীকে মেরেছে নিজের ব্যথা বেদনা ভুলে গিয়েছিলাম তখন। জেলে ভরবে ভেবেছিলাম। আমি কি সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে যেতে পারিনা? কোনও প্রশ্ন করতে পারিনা?'
এদিকে, রিপোর্ট তলব করল স্বাস্থ্য ভবন, তদন্ত কমিটি গঠন করল ন্যাশনাল মেডিক্যাল। লালবাজারের তরফে বলা হয়েছে, সিভিক ভলান্টিয়ারের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে