কলকাতা: নৌশাদ সিদ্দিকির ফের জেল হেফাজত। ১৩ মার্চ পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ ব্যাঙ্কশাল কোর্টের। কাল হাইকোর্টে জামিনের আর্জির শুনানি। নিউ মার্কেট ও হেয়ার স্ট্রিট থানার মামলায় আজ জামিনের আবেদন করেননি নৌশাদ। 


ফের জেল হেফাজত: ১০ দিনের জেল হেফাজত শেষে আজ ফের ব্যাঙ্কশাল আদালতে পেশ করা হয় আইএসএফ বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকিকে। আদালতে ঢোকার সময় নৌশাদ বলেন, হয়তো ভাবছে পঞ্চায়েত ভোটের আগে আমাকে আটকে রেখে কিছু করতে পারবে। কিন্তু আইএসএফকে এভাবে আটকানো যাবে না। আন্দোলন জারি থাকবে বলেও জানান নৌশাদ। একইসঙ্গে আইএসএফ বিধায়ক বলেন, ভেবেছিলেন বিধানসভার অধ্যক্ষ তাঁর হয়ে কিছু বলবেন। তবে তিনি আইনের পথেই হাঁটবেন বলে জানিয়েছেন নৌশাদ সিদ্দিকি।  


২১ জানুয়ারি, দলের প্রতিষ্ঠা দিবসে ভাঙড়ে তৃণমূলের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন ISF নেতা-কর্মীরা, যার আঁচ এসে পড়ে কলকাতায়। ISF ও পুলিশের খণ্ডযুদ্ধে, অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে ধর্মতলা। গ্রেফতার করা হয় ভাঙড়ের বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকি-সহ আরও অনেক ISF নেতা কর্মীকে। বর্তমানে জেল হেফাজতে আছেন নৌশাদ। গত সপ্তাহে নৌশাদ সিদ্দিকির (Noushad Siddique) গ্রেফতারি মামলায় হাইকোর্টের (Calcutta High Court) কড়া প্রশ্নের মুখে পড়ে রাজ্য (West Bengal)। বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চ এদিন প্রশ্ন করে, 'একটা ঘটনায় ৮৮ জন গ্রেফতার? প্রতিরোধমূলক গ্রেফতারির ক্ষেত্রের এতদিন ধরে ৮৮ জন জেলে? এই ধরনের ঘটনায় ১-২ জন নেতাকে হেফাজতে নিলে ঠিক আছে, কিন্তু ৮৮ জন? এই ৮৮ জনের ভূমিকা প্রমাণ করার মতো ভিডিও রেকর্ডিং আছে তো?'


ওই একদই দিনে আদালতে নৌশাদের আইনজীবীকে বিচারপতি প্রশ্ন করেন, 'একজন নেতা বা বিধায়কের এই ধরনের ভূমিকা হয়? গণতন্ত্রের নামে এই ধরনের আচরণ করা যায়? প্রতিবাদের নামে এই ধরনের অনিয়মিত আচরণ করা যায় কি? এটা একজন নেতার কাছ থেকে আশা করা যায় না', মন্তব্য বিচারপতি বাগচীর। নৌশাদের আইনজীবী প্রশ্ন তোলেন, 'কী কারণে ফের পুলিশি হেফাজতের প্রয়োজন? যা জিজ্ঞাসাবাদ করার, তা তো হয়েছে। তদন্তের জন্য প্রয়োজনে ভিডিও কনফারেন্স করুন। উনি বিধায়ক। রাজবন্দি করে রাখা হোক।' কাঠগড়া থেকে নৌশাদ সিদ্দিকি বলেন, 'কোনও বিশেষ সুবিধা চাই না। রাজবন্দি হওয়ার প্রয়োজন নেই।' 


আরও পড়ুন: Bishnupur Case: বিষ্ণুপুর গণধর্ষণ মামলায় পুলিশকে ভর্ৎসনা হাইকোর্টের