কলকাতা : 'মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের কথা শুনতে হবে নৌশাদকে, নাহলে পির সাহেব পরিবারের কাউকে ভাঙড়েই দাঁড় করাবেন', মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফুরফুরা শরিফ সফরের পরেই এই মন্তব্য করলেন তহ্বা সিদ্দিকি।
ন'বছর পর, গত পরশু ফুরফুরা শরিফে যান মুখ্য়মন্ত্রী। যোগ দেন ইফতার-অনুষ্ঠানে। যা নিয়ে রাজনৈতিক তরজাও শুরু হয়। এই আবহে এদিন ত্বহা সিদ্দিক বলেন, "নৌশাদকে মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের কথা শুনতে হবে, আমরা মনে হচ্ছে। যা বলবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাই ওঁকে শুনতে হবে। আর যদি না শোনে আমার মনে হচ্ছে, কোনও একজন পির সাহেব পরিবারের ...কোনও একজনেক ভাঙড়েই দাঁড় করাবেন উনি। এই খেলাটা চলার সম্ভাবনা আছে বলে আমি মনে করছি।" যার উত্তরে নৌশাদ বলেন, "দেখুন তহ্বা সিদ্দিকি চাচাজান কী বলছেন, না বলছেন ..তার উত্তর আমার মনে হয়, এরকমভাবে কাদা ছোড়াছোড়ি আমি পক্ষপাতি নই। তিনি আমাদের গুরুজন। আমাদের চাচাজান। তবে এতটুকু কথা আমি বলব, যে নীতি-আদর্শ নিয়ে আমি চলছি, সেই নীতি-আদর্শকে আমি কোনও রকমভাবে বিসর্জন দিতে পারব না। সামনে কে আসবেন, না আসবেন সময় কথা বলবে। মানুষ যাকে চাইবেন সময়ে সেটা হবে। কিন্তু, আমি কোনওভাবেই ভাঙড়ের মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করতে পারব না। রাজ্যের মানুষ এই চার বছরে যে ভালোবাসা-বিশ্বাস আমার প্রতি নিয়ে এসেছেন, সেটা কোনওভাবে নষ্ট করতে পারব না।"
দিনকয়েক আগে নবান্নে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলেন নৌশাদ সিদ্দিক। তারপরেই তিনি তৃণমূলে যোগ দিতে পারেন বলে রাজনৈতিক জল্পনা ছড়ায়। যদিও সেই জল্পনা নস্যাৎ করেছেন ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক। এই আবহে গত পরশু ফুরফুরা শরিফে গিয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী। যা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজাও। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, "উনি প্রত্য়েকবার বিধানসভা ভোটের আগে যান। '১৬ সালেও গেছিলেন। ৫ বছর ফুরফুরার কথা ভুলে গেছিলেন। মুসলিমদের কথা ভুলে গেছিলেন। এখন ভোট এসেছে। তাই ফুরফুরায় যেতে হবে। '১৬-তেও গেছিলেন। আবার '২৬-এ ভোট আসছে, চাপে আছেন। পশ্চিমবাংলার হিন্দু ভোটার, যাঁরা তৃণমূলকে ভোট দেন, তাঁরা আজকে একটু টিভির দিকে নজর রাখবেন।"
যদিও মমতা বলেন, "আমি যখন কাশী বিশ্বনাথে যাই, এই প্রশ্নটা তো করেন না ! আমি যখন দুর্গাপুজো করি, তখন তো এই প্রশ্ন করেন না ! জেনে রাখুন, আমি খ্রিস্টানদের উৎসবেও যাই, আমি ইদ মোবারকেও যাই, আমি ইফতার নিজে করি এবং রোজাতেও যাই, ইফতারেও যাই, ইদেও যাই।"