উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায়, কলকাতা :  এবার বাধা নৌশাদকে (Nawsad Siddique)। সন্দেশখালি ( Sandeshkhali ) যাওয়ার পথে  সায়েন্স সিটির কাছে আটকে দেওয়া হল বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকিকে। মঙ্গলবার সন্দেশখালি যাওয়ার কর্মসূচি ছিল আইএসএফ ( ISF MLA ) বিধায়কের। কিন্তু সায়েন্স সিটির কাছে তাঁকে আটকানো হলে পুলিশের সঙ্গে তাঁর বাদানুবাদ চরমে ওঠে। তারপরই গ্রেফতার করা হয় ISF বিধায়ককে।

  

কী ঘটেছিল ... 

মঙ্গলবার পূর্ব পরিকল্পনা মতো সন্দেশখালির দিকে যাচ্ছিলেন ISF বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকি। সঙ্গে ছিলেন অনুগামীরা। কিন্তু ৬২ কিলোমিটার দূরে সায়েন্স সিটির কাছেই ISF বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। কেন গ্রেফতার করা হল, এই প্রশ্ন তুলে পুলিশের সঙ্গে বাগ্‍‍বিতণ্ডায় জড়ান ISF বিধায়ক। ISF বিধায়ক বলেন, 'মনে হচ্ছে ওদের মাইনেও তৃণমূলের থেকে হয়। চাটুকারিতা করছে পুলিশ। কীসের ভয় পাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী? বাংলায় স্বৈরতন্ত্র চলছে' । প্রথমে ১৪৪ ধারা লঙ্ঘনের যুক্তি দেখিয়েই নৌশাদকে আটকানো হয়।  পরে অবশ্য পুলিশ জানায়, CRPC-র ১৫১ ধারায় গন্ডগোলের আশঙ্কায় গ্রেফতার করা হয় নৌশাদ সিদ্দিকিকে।  

কংগ্রেস প্রতিনিধি দলকেও বাধা


এদিনই আবার কংগ্রেস প্রতিনিধি দলকে সন্দেশখালি যাওয়ার পথে বাধা দেওয়া হয়। কংগ্রেস মুখপাত্র সৌম্য আইচের নেতৃত্বে সন্দেশখালি যাচ্ছিল কংগ্রেসের প্রতিনিধি দল। ন্যাজাটে আটকে দেওয়া হয় কংগ্রেসের প্রতিনিধি দলকে। 

সন্দেশখালিতে বাম মনোভাবাপন্ন বিশিষ্টরা


অন্যদিকে আবার পুলিশের নজর এড়িয়ে সন্দেশখালিতে গেলেন বাম মনোভাবাপন্ন বিশিষ্ট জনেরা। সেই দলে রয়েছেন বাদশা মৈত্র, সৌরভ পালোধি, দেবদূত ঘোষ-সহ বেশ কয়েকজন। সন্দেশখালির বিভিন্ন গ্রামে গিয়ে বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা । টোটোয় সন্দেশখালির ভিতরেও ঢোকেন বাদশা, দেবদূতরা। আগে ঘুর পথে, মুখ ওড়নায় ঢেকে সন্দেশখালি পৌঁছে যান ডিওয়াইএফআই নেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। 


ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের মামলা


অন্যদিকে, সন্দেশখালি ইস্যুতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে রবিবার সন্দেশখালি যাওয়ার পথে ভোজেরহাটে পুলিশি বাধার মুখে পড়ে ওই সংস্থার ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম। গ্রেফতার করা হয় পাটনা হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতিকে। তারপর আদালতের দ্বারস্থ হয় ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। মামলা দায়েরের অনুমতি দেন বিচারপতি কৌশিক চন্দ। মঙ্গলবার দুপুর ৩টে মামলার শুনানি হবে। আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারির সওয়াল, শাসক দলের নেতা-মন্ত্রীদের সন্দেশখালিতে যেতে দিচ্ছে পুলিশ, কিন্তু বাকিদের আটকানো হচ্ছে। বিচারপতি কৌশিক চন্দ মন্তব্য করেন, সেটাই তো স্বাভাবিক যে শাসক দলের নেতাদের আটকানো হবে না। আপনার দল ক্ষমতায় এলে, তারাও সেটাই করবে।  

আরও পড়ুন  :


মুকুল রায়ের বাড়িতে ইডি, বেশিরভাগ প্রশ্নেরই উত্তরেই মুকুল বললেন...