রাজা চট্টোপাধ্যায়, জলপাইগুড়ি: প্রবল বর্ষণের (Heavy Rain) জেরে ফের আশঙ্কা মুখে উত্তরবঙ্গের এই এলাকা(North Bengal)। আবহাওয়া দপ্তরের আগাম পূর্বাভাস ছিল যে পাহাড় ও ডুয়ার্সে ভারী বৃষ্টি হবে। সেইমতো কয়েকদিন ধরে পাহাড় ও ডুয়ার্সে বৃষ্টি চলছিল। আর ভুটান পাহাড় ও ডুয়ার্সে ভারী বৃষ্টির কারণে জলমগ্ন হয়ে পড়েছে বানারহাট। পরিস্থিতি মোকাবিলায় নামানো হয়েছে এনডিআরএফ।
রীতিমতো বন্যা পরিস্থিতি বানারহাটে। বানারহাটের শতাধিক বাড়িতে জল ঢুকে পড়েছে। জল ঢুকে পড়েছে বেশ কিছু দোকানেও। মাটি ধসে ক্ষতিগ্ৰস্ত হয়েছে রেললাইন। রাস্তার পিচের চাদর উঠে গিয়েছে, বিদ্যালয়ের দেওয়াল ভেঙে পড়েছে। রাতভর জলমগ্ন হয়েছিল বানারহাট হাসপাতাল চত্বর। ক্ষতি হয়েছে বেশ কয়েকটি চা বাগান। প্রচুর মানুষ বাধ্য হয়ে উঁচু জায়গায় এবং রাস্তায় আশ্রয় নেয়, পরিস্থিতি মোকাবিলায় নামানো হয়েছে NDRF।
জানা গিয়েছে, রবিবার রাত ১১ টার পর থেকে জল ঢুকতে শুরু করে বানারহাটে। ধীরে ধীরে জলমগ্ন হয়ে পড়ে একের পর এক বাড়ি, জলের স্রোত এতটাই ছিল যে রাস্তার পিচের চাদর উঠে যায়।এমনকি ক্ষতিগ্ৰস্ত হয়েছে রেললাইন। এদিকে বেশ কিছু বাড়িতে জল ঢুকে পড়ায় ছোট ছোট শিশুদের নিয়ে অনেকেই রাতভর রাস্তায় ও উঁচু জায়গায় আশ্রয় নেন। তবে সকালের পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক। জল অনেকটা কমেছে। যদিও ফ্রিজ টিভি -সহ বিভিন্ন আসবাবপত্রের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর,উত্তরবঙ্গে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে বৃষ্টির পরিমাণ অনেকটা কমবে। শুধুমাত্র জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ারে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। বাকি উপরের দিকের জেলা দার্জিলিং, কালিম্পং এবং কোচবিহারে বিক্ষিপ্তভাবে হালকা মাঝারি বৃষ্টি। বাকি জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা কম। আগামী কয়েকদিনে তাপমাত্রা বাড়বে। বাড়বে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি। সোমবার থেকে শুধুমাত্র ওপরের দিকের জেলাগুলিতে বিক্ষিপ্তভাবে হালকা মাঝারি বৃষ্টি চলবে।
প্রসঙ্গত, প্রবল বর্ষণের জেরে এর আগেও বড়সড় ভোগান্তির মুখে পড়েছিল উত্তরবঙ্গ। গত জুলাই মাসের মাঝামাঝি রাতভর বৃষ্টির জেরে সেবক-এর কাছে ১০ নং জাতীয় সড়কে নেমেছিল ধস। বৃষ্টির তোড়ে ভাসছে তরাই-ডুয়ার্স। জলপাইগুড়ি থেকে কোচবিহার-প্রবল বৃষ্টিতে কার্যত নাস্তানাবুদ জেলাগুলি। বৃষ্টির তোড়ে ভাসছে তরাই-ডুয়ার্স। জলপাইগুড়ি থেকে কোচবিহার- প্রবল বৃষ্টিতে কার্যত নাস্তানাবুদ জেলাগুলি। রাতভর বৃষ্টির জেরে সেবক-এর কাছে ১০ নং জাতীয় সড়কে নেমেছিল ধস। জলপাইগুড়ি শহরের মধ্যে দিয়ে বয়ে চলা করলা নদী সেসময় উদ্বেগ বাড়িয়ে দিয়েছিল। বিপুল বৃষ্টির কারণে জলস্ফীতি ঘটেছিল তিস্তা, করলা এবং জলঢাকায়। বৃষ্টির তোড়ে জলে টইটুম্বুর জলপাইগুড়ি শহরের মধ্য়ে গিয়ে বয়ে চলা করলা নদী।
আরও পড়ুন, 'শকুনের রাজনীতি..', দত্তপুকুরকাণ্ডে রাজ্যপালকে পাল্টা কুণাল
গত মাসেও রাজ্যের পাহাড়ি রাস্তায় নেমেছিল ভূমিধস (Landslide at Birik Dara)। প্রবল বর্ষণে (Heavy Rain) গত মাস থেকেই গোটা উত্তরবঙ্গে (North Bengal) পাহাড়ি রাস্তাগুলির হাল খারাপ। এর আগে বিরিক দারা রোডের কাছে ১০ নং জাতীয় সড়ক (NH 10)। বিরিক দারা রোডের কাছে ১০ নং জাতীয় সড়কে ভূমিধস নেমেছিল।