রাজা চট্টোপাাধ্যায়, আলিপুরদুয়ার: পাঁচ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের পর খুনের অভিযোগে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে খুন করল ক্ষিপ্ত জনতা। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে আলিপুরদুয়ার জেলার ফালাকাট থানার ফালাকাট থানার খগেনহাটের জটেশ্বর এলাকায়। এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে উত্তেজিত জনতা ওই নাবালিকার প্রতিবেশীকে পিটিয়ে খুন করল।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার মিষ্টি খাওয়ানোর লোভ দেখিয়ে পাঁচ বছরের এক শিশুকন্যাকে ধর্ষণ ও খুন করার অভিযোগ ওঠে স্থানীয় এক ব্যাক্তির বিরুদ্ধে । কয়েক ঘন্টা নিখোঁজ থাকার পর স্থানীয় একটি পুকুরের ধারে শিশুটির মৃতদেহ পাওয়া যায়। এই ঘটনায় ওই শিশু কন্যার প্রতিবেশীরা ৪০ বছর বয়সী এক প্রতিবেশীকে অভিযুক্ত হিসেবে চিহ্নিত করে। এরপর স্থানীয় বাসিন্দারা তাকে ধরে নিয়ে যায় এবং পরে তাকে একটি গাছের সঙ্গে বেঁধে ব্যাপক মারধর করে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছায় জটেশ্বর ফাঁড়ির পুলিশ। পরে ফালাকাটা থানা থেকে পুলিশও এসে ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। কিন্তু, সেখানে যাওয়ার পর স্থানীয়দের বিক্ষোভের মুখে পড়ে পুলিশ। এরপর ফালাকাটা থানা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ কর্মী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, মেয়েটির বাবা-মা বাড়ির পাশেই কৃষি জমিতে কাজ করছিলেন। কাজে যাওয়ার সময় বাচ্ছাটিকে বাড়ির বাইরে খেলতে দেখে গিয়েছিলেন। কিন্তু, সন্ধ্যার আগে ফিরে এসে মেয়ে দেখতে না পেয়ে এলাকায় খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। তখন স্থানীয় কয়েক জনের কাছে জানতে পারেন যে শিশুটিকে শেষবার অভিযুক্ত প্রতিবেশীর সঙ্গে দেখা গিয়েছিল। কেউ কেউ দাবি করেছেন যে তাঁরা অভিযুক্তের বাড়ি থেকে শিশুটির কান্না শুনেছেন।এরপরই স্থানীয় একটি পুকুরের পাড় থেকে শিশু কন্যার মৃতদেহ উদ্ধার হয়।
তারপরই অভিযুক্তকে স্থানীয়রা আটক করে গাছে বেঁধে গণপিটুনি দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ এসে অভিযুক্তকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসক। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় স্থানীয়দের।
এপ্রসঙ্গে জেলা পুলিশ সুপার ওয়াই রঘুবংশী জানান, গুরুত্ব সহকারে গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে। দুটি মৃতদেহই ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। শিশুর মৃত্যুতে যেমন ধর্ষণ করে খুনের তদন্ত হচ্ছে তেমনি অপর ব্যক্তির মৃত্যুর ঘটনারও তদন্ত চলছে। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত এক জনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে বলে জানান জেলা পুলিশ সুপার ওয়াই রঘুবংশী।