বাচ্চু দাস, শিলিগুড়ি: করোনা পরিস্থিতিতে দীর্ঘ ২০ মাস বন্ধ থাকার পর চালু হল ভারত নেপাল বাস পরিষেবা। আপাতত সপ্তাহে তিনদিন চলবে বাস । পরে যাত্রী চাহিদা অনুযায়ী  বাড়বে সার্ভিস। প্রতিদিন দুপুর তিনটার সময় শিলিগুড়ির জংশন বাস স্ট্যান্ড থেকে বাস ছেড়ে নেপালের উদ্দেশ্য রওনা দেবে। তবে যাত্রীদের অবশ্যই করোনার টিকার দুটি ডজের সার্টিফিকেট থাকা বাধ্যতামূলক। 



করোনার পরিস্থিতিতে উত্তরবঙ্গের অর্থনীতির অন্যতম স্তম্ভ পর্যটন শিল্প। কার্যত মুখ থুবড়ে পড়েছিল। তার ওপর বন্ধ হয়ে যায় ভারত নেপাল বাস পরিষেবা। যার জেরে নেপালের পর্যটকদের একটা অংশ উত্তরবঙ্গে পর্যটকের সংখ্যা কমে গিয়েছিল। সারা দেশ যখন স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে ঠিক সেই সময় প্রতিবেশী দেশ নেপাল আবার চালু করল ভারত নেপাল বাস পরিষেবা। প্রায় ২০ মাস পর সোমবার নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু থেকে ভারতের শিলিগুড়িতে এসে পৌঁছল বাস।


মঙ্গলবার দুপুরে শিলিগুড়ির জংশনে বাস স্ট্যান্ড থেকে ফের নেপালের উদ্দেশে রওনা দেয় এই বাস। তবে করোনার জন্য এখনও ভারত-নেপাল বাস পরিষেবায় সুরক্ষাবিধি মানার ব্যাপারে জোর দেওয়া হবে। জানা গেছে,  সফরকালে প্রত্যেক যাত্রীকে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক । যাত্রীদেরও ভ্যাকসিনের দুটি ডোজের সার্টিফিকেট লাগবে অথবা সঙ্গে রাখতে হবে ৭২ ঘন্টা মধ্যে করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট।   এছাড়া যাত্রীকে নেপালে প্রবেশের ক্ষেত্রে সঙ্গে রাখতে হবে ভোটার কার্ড, আধার কার্ড। 


সম্পূর্ণ বাতানুকূল এই বাসে থাকবে ৪৫ টি আসন। সেই সাথে যাত্রীদের মনোরঞ্জনের জন্য বসে থাকছে টিভির ব্যবস্থা। অন্যদিকে নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে রয়েছে সিসিটিভি-র ব্যবস্থা। এছাড়াও মোবাইল চার্জের ব্যবস্থা রয়েছে বাসে।


আপাতত শিলিগুড়ি থেকে সপ্তাহে তিনদিন এই বাস কাঠমান্ডু যাবে। মঙ্গলবার বৃহস্পতিবার ও শনিবার বাস শিলিগুড়ি থেকে কাঠমান্ডু ছাড়বে। অপরদিকে সোম, বুধ ও শুক্রবার কাঠমাণ্ডু থেকে বাস শিলিগুড়ির উদ্দেশে রওনা দেবে।  যাত্রীদের খরচ পড়বে মাথা পিছু ১৫০০ টাকা। 


 শিলিগুড়ি বাস ওনার্স বুকিং এজেন্ট ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সন্তোষ সাহা জানান, প্রতি সপ্তাহে শিলিগুড়ি থেকে মঙ্গলবার, বৃহস্পতিবার ও শনিবার কাঠমান্ডুর উদ্দেশ্যে যাবে বাস। দুপুর ৩ টা নাগাদ বাস শিলিগুড়ি জংশন থেকে ছাড়বে। এরপর কাকড়ভিটা, লালগড়, নৌবিস হয়ে বাসটি কাঠমান্ডু যাবে। অন্যদিক সোমবার নেপাল থেকে শিলিগুড়িত উদ্দেশ্যে বাস রওনা দেবে। গত কয়েক বছরে জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির জেরে বাসের টিকিটের দামও বেড়েছে। এখন যাত্রীভাড়া মাথাপিছু ১৫০০ টাকা করা হয়েছে। এই বাস পরিষেবার ফলে উত্তর-পূর্ব ভারতের এবং উত্তরবঙ্গের পর্যটন শিল্প আবারো কিছুটা প্রাণ পাবে।