সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: শ্যামনগরে (Shyamnagar) নেশাগ্রস্ত যুবকের বিরুদ্ধে তিনজনকে কোপানোর (Stabbing) অভিযোগ উঠল। গতকাল রাতে উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Pargana) শ্যামনগরে ঘটনাটি ঘটে। স্থানীয় সূত্রে খবর, পাড়ার মধ্যে গল্প করছিলেন তিন বন্ধু। অভিযোগ, আচমকাই সেখানে মত্ত অবস্থায় হাজির হয় অভিযুক্ত। প্রথমে চ্যালাকাঠ দিয়ে ২ যুবককে পেটায়, এরপর ধারাল অস্ত্র দিয়ে এলোপাথারি কোপায় বলে অভিযোগ। বাধা দেওয়ায় আক্রান্ত হন তৃতীয় যুবকও। রাতে জগদ্দল থানায় (Jagaddal Police Station) অভিযোগ দায়ের হয়। ঘটনার পর থেকে বেপাত্তা অভিযুক্ত। পুরনো শত্রুতা না কি, অন্য কোনও কারণে হামলা, খতিয়ে দেখছে পুলিশ। 


অন্য়দিকে ফের অমানবিক পুলিশ। এবার কাঠগড়ায় মহেশতলা থানা (Maheshtala Police Station)। কালীপুজোর (Kalipuja 2021) দিন রাস্তায় বাইক রাখার প্রতিবাদ করায় পুলিশের (Police) সঙ্গে বচসা। তার জেরে দক্ষিণ ২৪ পরগনার মহেশতলায় তৃণমূল নেতার ভাইকে মারধরের অভিযোগ উঠল এসআইয়ের বিরুদ্ধে। কবজি, পাঁজর-সহ চার জায়গায় ভেঙেছে হাড়, দাবি আক্রান্তের পরিবারের। 


ঘটনার সূত্রপাত কালীপুজোর দিন। আক্রান্তের পরিবারের দাবি, রাস্তা আটকে দাঁড় করানো ছিল মহেশতলা থানার (Maheshtala Police Station)। এসআই আবুল মারজানের বাইক। এর প্রতিবাদ করেন মহেশতলা পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য সুকান্ত বেরার ভাই সুমন্ত। অভিযোগ, তার জেরে এসআই সুমন্তকে চড় মারেন। এরপর দু’ পক্ষের হাতাহাতি শুরু হলে, প্রতিবাদীকে থানায় নিয়ে গিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। 


পরিবারের দাবি, সরকারি কাজে বাধা, উর্দিধারী পুলিশকে নিগ্রহের অভিযোগ-সহ জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু হলেও আক্রান্তের শারীরিক অবস্থা বিচার করে তাঁকে জামিন দেয় আলিপুর আদালত। বর্তমানে বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি তৃণমূল নেতার ভাই। আজ তাঁর অস্ত্রোপচার হওয়ার কথা। পুলিশের প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি।


এই ঘটনায় অভিযুক্ত এসআই ও আইসি-র অপসারণের দাবিতে এদিন মহেশতলা থানার সামনে স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক দুলাল দাসের নেতৃত্বে প্রতিবাদ সভা হয়।