সৌমিত্র রায়, কলকাতা: কথায় আছে 'বিশ্বাসে মিলায় বস্তু, তর্কে বহুদূর'। আর সেই বিশ্বাসের বর্শবর্তী হয়েই এবার সোনার হার খোয়ালেন নিউ আলিপুরের বাসিন্দা অনির্বাণ দাস। অফিসে যাওয়ার জন্য বেরিয়ে যে এমন ঘটনার মুখোমুখি হতে হবে, তা স্বপ্নেও কোনওদিন ভাবতে পারেননি। বিশ্বাস ছিল যে ঈশ্বরে ভক্তি রাখলে হয়তো প্রতিদিনের মধ্যবিত্ত জীবনে কিছুটা উন্নতি হতে পারে। সেই আশা নিয়েই এবার প্রতারণার শিকার হলেন ওই যুবক।
ঠিক কী ঘটেছে?
মঙ্গলবার সকাল ৯টা নাগাদ অফিসে যাচ্ছিলেন নিউ আলিপুরের বাসিন্দা অনির্বাণ দাস। অভিযোগ সেই সময় বাসের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে ছিলেন তিনি। হঠাৎই দেখেন ৪-৫ জন সাধু একটি বালতি করে দেব-দেবীর ছবি নিয়ে তাঁর কাছে এসে দক্ষিণা চায়। তিনি দক্ষিণা বাবদ ১১ টাকা দেন তাঁদের কাছে। এরপর টাকা দেওয়ার ফাঁকেই অভিযোগকারীকে সোনার চেন দেব-দেবীর ছবিতে ঠেকাতে বলে।
এরপর অভিযোগকারী মাথা ঝোঁকাতেই তাঁর চোখে-মুখে কিছু স্প্রে করে দেওয়া হয়। চোখে অন্ধকার দেখেন অভিযোগকারী। এরপর অভিযোগ, চোখ খুলতেই তার সামনে একটি সাপ নিয়ে আসা হয়। যা ওই অবস্থায় দেখে ভয়ে পিছিয়ে আসেন অনির্বাণ। এরপর অভিযোগকারীকে ২-৩টি সাপ দেখিয়ে ভয় পাইয়ে অভিযুক্তরা চম্পট দেয় বলে অভিযোগ। প্রথমে নিউ আলিপুর থানায় অভিযোগ জানাতে যাওয়া হয়। যদিও তাঁরা সে অভিযোগ নিতে অস্বীকার করেন। এরপর বেহালা থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে ছিনতাইকারীদের শনাক্ত করার চেষ্টা করছে পুলিশ।
আরও পড়ুন, রাজ্যপাল নয়, মুখ্যমন্ত্রীকে আচার্য করার দাবি তুললেন প্রাক্তন উপাচার্যরা!
শহরে বাড়ছে প্রতারণা
আচমকা অ্যাকাউন্ট থেকে গায়েব হয়ে যাচ্ছে হাজার হাজার টাকা! বিভিন্ন ওয়েবসাইট থেকে আধার নম্বর, বায়োমেট্রিক ফিঙ্গারপ্রিন্ট চুরি করে প্রতারণার অভিযোগ। কীভাবে ফাঁদ পাতছে প্রতারকরা? কীভাবেই বা এর হাত থেকে বাঁচবেন? বলছেন সাইবার বিশেষজ্ঞরা। জানা যাচ্ছে, জমি বিক্রির জন্য একটি ওয়েবসাইটে প্রয়োজনীয় নথির পাশাপাশি আধার কার্ড নম্বর ও বায়োমেট্রিক ফিঙ্গারপ্রিন্ট আপলোড করেছিলেন। তাতেই বিপত্তি!