রাজা চট্টোপাধ্যায়, জলপাইগুড়ি: ডুয়ার্সের (Dooars) গয়েরকাটায় শিক্ষাক্ষেত্রে নতুন দুর্নীতির অভিযোগ। মায়ের বদলে ছেলে আর দাদার বদলে বোন পড়াচ্ছেন স্কুলে। দুজনেরই অবশ্য দাবি, এসআই-এর অনুমতি নিয়েই তাঁরা স্কুলে পড়াচ্ছেন। স্কুলের তথ্য বাইরে প্রকাশ করবেন না বলে জবাব এড়িয়েছেন প্রধান শিক্ষিকা।


শিক্ষাক্ষেত্রে নতুন দুর্নীতির অভিযোগ: রোল কলের সময় সহপাঠীর অনুপস্থিতিতে তার হয়ে গোপনে উপস্থিত বলা নয়, জলপাইগুড়ির পূর্ব গয়েরকাটা অ্যাডিশনাল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষিকা মায়ের বদলে পড়াচ্ছেন ছেলে। শিক্ষক দাদার জায়গায় পড়াচ্ছেন তাঁর বোন। নিয়োগ মামলা নিয়ে হইচই পড়ে গিয়েছে রাজ্যে। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় থেকে শুরু করে SSC-র প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্য, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য-সহ রাজ্যের শিক্ষা দফতর ও শিক্ষায় নিয়োগের দায়িত্বে থাকা শীর্ষ আধিকারিকদের সিংহভাগই বর্তমানে জেলে এই পরিস্থিতিতে, এবার বানারহাট ব্লকে গয়েরকাটায় নতুন দুর্নীতির অভিযোগ উঠল।                                         

পার্শ্ব শিক্ষিকা মণি পাল বসুর পরিবর্তে চাকরি করছেন তাঁর ছেলে প্রীতম বসু।  একই স্কুলে দাদা সুদীপ্তকুমার দে-র জায়গায় পড়াচ্ছেন তাঁর বোন রূপা দে। নিয়মিত বেতন ঢুকছে মণি পাল বসু ও সুদীপ্তকুমার দে'র অ্যাকাউন্টে। মা ও দাদার অসুস্থতার কারণে, এসআই-এর অনুমতি নিয়েই তাঁরা স্কুলে পড়াচ্ছেন বলে দাবি করেছেন প্রীতম বসু ও ও রূপা দে। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, প্রশিক্ষণ ছাড়া আদৌ কি এভাবে শিক্ষকতা করা যায়? মুখে কুলুপ এঁটেছেন স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা।  ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা সঞ্চালি গঙ্গোপাধ্যায় মুখোপাধ্যায় অবশ্য জানিয়েছেন, “স্কুলের তথ্য বাইরে প্রকাশ করব না।’’ এবিষয়ে স্থানীয় স্কুল ইন্সপেক্টরকে ফোন করে হলে, তাঁর ফোনটি বেজে গিয়েছে। অন্যদিকে, জেলা সকুল পরিদর্শক দাবি করেছেন, বিষয়টি তিনি জানেন না। খোঁজ নিয়ে দেখবেন।                                                               


চাকরির দাবিতে পথে আন্দোলনকারীরা: এদিকে চাকরির দাবিতে ৭০০ দিনে পড়ল SLST চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলন। মেয়ো রোডে গান্ধী মূর্তির সামনে চলছে অবস্থান-বিক্ষোভ। ফাঁকা OMR প্রতিলিপি নিয়ে কালো পোশাক পরে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন চাকরিপ্রার্থীরা।                         

আরও পড়ুন: Malda News: পঞ্চায়েত ভোটের মুখে ১২ জন তৃণমূল সদস্যের ইস্তফা, অস্বস্তিতে ঘাসফুল শিবির?