ফের কাঁপল ভারতের মাটি। এবার উত্তরপূর্বের। শনিবার সকাল ৭:৩৮ মিনিটে আসামের নগাঁওয়ে ভূমিকম্প অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে এর তীব্রতা ছিল ২.৯। ভূমিকম্পের প্রভাব নগাঁও এবং আশেপাশের এলাকাতেও অনুভূত হয়েছে। তবে এর তীব্রতা কম হওয়ায়, কোনও প্রাণহানি বা সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতির খবর নেই। ভূমিকম্পের ধাক্কা লাগার সঙ্গে সঙ্গেই  মানুষ আতঙ্কে ঘর থেকে বেরিয়ে আসে। 

তবে তীব্রতা কম হওয়ায় আতঙ্কের রেশ ছিল কম। অসম এবং উত্তর-পূর্ব ভারত ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চলেই পড়ে। তাই এখানে মাঝে মাঝে মৃদু তীব্রতার ভূমিকম্প হয়। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই ধরনের কম্পন ভূতাত্ত্বিক কার্যকলাপের অংশ এবং যতক্ষণ পর্যন্ত এই কম্পনের তীব্রতা কম থাকে, ততক্ষণ পর্যন্ত চিন্তার কিছু নেই। 

মায়ানমারেও আবার ভূমিকম্প 

শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) রাতেও মায়ানমারের অনেক এলাকায় ভূমিকম্প অনুভূত হয়। ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি (এনসিএস) অনুসারে, শুক্রবার রাতে মায়ানমারে দুটি ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। শুক্রবার রাত ১১:০৪:৬ মিনিটে প্রথম কম্পনটি অনুভূত হয়। এই সময়ে, ভূমিকম্পের তীব্রতা ছিল রিখটার স্কেলে ৩.৬ ।  এর পর, শুক্রবার রাত ১১:৩১:২৩ মিনিটে দ্বিতীয় কম্পনটি অনুভূত হয়, যার তীব্রতা রিখটার স্কেলে ৩.৭ । ভূমিকম্পের পর স্থানীয় লোকজন তাদের ঘর থেকে বেরিয়ে আসেন। কারণ এখনও পর্যন্ত মায়ান মারের মানুষের কাছে গত ভূমিকম্পর ক্ষত টাটকা। তাতে মারা গিয়েছেন হাজারে হাজারে মানুষ।  

দুই দিন আগেই ভূমিকম্পে কাঁপে আফগানিস্তানের বিস্তীর্ণ এলাকা। ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি জানায় রিখটার স্কেলে ৫.৯ মাত্রায় কম্পন হয়েছে। হিন্দুকুশ পর্বতমালা অঞ্চলে এই কম্পন তীব্রভাবে অনুভূত হয়েছে। এনসিএসের মতে, ভূমিকম্পটি ৭৫ কিলোমিটার গভীরে হয়েছিল। ৫.৯ মাত্রার ভূমিকম্পটি গুরুতর ক্ষয়ক্ষতির জন্য যথেষ্ট শক্তিশালী বলে মনে করা হয়, বিশেষ করে ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থলের কাছে। তবে হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির কোনও খবর পাওয়া যায়নি।